Business News

বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার ধাক্কা থাকবে আরও ৫ বছর, শক্তিশালী হবে ভারত, মত আইএমএফ-এর

সম্ভাব্য নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই মন্দার প্রভাব থাকবে বিশ্বের ৯০ শতাংশ দেশের অর্থনীতিতে। তবে ২০০৮-০৯ সালে যে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা দেখা দিয়েছিল, সেই পরিস্থিতি হবে না বলেই মত আইএমএফএর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৩৫
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই মন্দার চাপে রয়েছে অর্থনীতি। কিন্তু এই মন্দগতি কি ক্ষণিকের, নাকি দীর্ঘস্থায়ী?আগামী কয়েক বছরে কোন খাতে বইবে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির হার, তার আভাস দিল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)। মন্দার ধাক্কায় ন্যুব্জ আর্থিক বৃদ্ধির হারের এই শ্লথগতি চলবে আরও ৫বছর, ভবিষ্যদ্বাণী আইএমএফ-এর। তবে আশার কথা একটাই, বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদানের নিরিখে ভারত উঠে আসতে পারে কয়েক ধাপ উপরে। অন্য দিকে তালিকায় নীচের দিকে নামবে চিন, মনে করছে আইএমএফ।

Advertisement

অধিকাংশ দেশেই আর্থিক বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। কিংবা যে হারে আশা করা গিয়েছিল, তার চেয়ে অনেক কম। চিন-আমেরিকা শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতেই পড়ছে। ব্রেক্সিট থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার প্রভাবে চাপে ইউরোপের অর্থনীতি। সব মিলিয়ে শিল্প-বিনিয়োগে ভাটার টান,আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলছে ঢিমেতালে।এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির হার কেমন হবে এবং কোন দেশের অবদান তাতে কেমন থাকবে, তা নিয়েই সম্প্রতি একটি সম্ভাব্য নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে আইএমএফ।

সেই সম্ভাব্য নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই মন্দার প্রভাব থাকবে বিশ্বের ৯০ শতাংশ দেশের অর্থনীতিতে। তবে ২০০৮-০৯ সালে যে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা দেখা দিয়েছিল, সেই পরিস্থিতি হবে না বলেই মত আইএমএফএর। অর্থনীতি চাপে থাকার অর্থ, আর্থিক বৃদ্ধিও ঝিমিয়ে পড়বে। সে দিকেই দিক নির্দেশ করে আইএমএফ মনে করছে, শুধুমাত্র এ বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালেই আর্থিক বৃদ্ধি কমতে পারে ৩ শতাংশ পর্যন্ত।

Advertisement

সামগ্রিক অর্থনীতির এই চিত্রের পাশাপাশি, মুখ্য দেশগুলির অর্থনীতি এবং বৃদ্ধির হার কেমন হবে, তারও একটি সম্ভাব্য রূপরেখা তৈরি করেছে আইএমএফ। বর্তমানে বিশ্বের জিডিপি বৃদ্ধির হারে আমেরিকার অবদান সবচেয়ে বেশি ২৪.৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিন। তাদের অবদান ১৬.১ শতাংশ। এর পর তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে জাপান (৫.৯৩) ও জার্মানি (৪.৬৭)। ভারতের (৩.৩৬) স্থান পঞ্চমে।

আরও পড়ুন: নজরে চিন, শব্দের পাঁচ গুণ বেশি গতির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পথে ভারত

আরও পড়ুন: ‘বিজেপির সবচেয়ে সৎ মানুষ’, ইভিএম নিয়ে হরিয়ানার বিধায়কের বিতর্কিত মন্তব্যে খোঁচা রাহুলের

কিন্তু আইএমএফ-এর সম্ভাব্য রূপরেখায় এই স্থানে রদবদল অবশ্যম্ভাবী। চিনের প্রভাব যেমন কমতে পারে, তেমনই ভারত উঠে আসতে পারে শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদানও সেই অনুযায়ী বাড়বে। চিন এবং আমেরিকাকে টপকে ভারত উপরে উঠে আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত আইএমএফ-এর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন