Lenskart IPO

লক্ষ্য ৮,৮৭৬ কোটি টাকা! ভাইফোঁটার পর আইপিও নিয়ে স্টকের দুনিয়ায় পা রাখছে চশমা প্রস্তুতকারী সংস্থা

বাজার থেকে ৮,৮৭৬ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও আনছে চশমা প্রস্তুতকারী সংস্থা লেন্সকার্ট। ভাইফোঁটার পর আগামী নভেম্বরে শেয়ার বাজারে গুরুগ্রামের স্টার্ট আপ সংস্থাটির তালিকাভুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:২৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

দীপাবলিতে স্টকে লগ্নিকারীদের জন্য সুখবর। শেয়ারের দুনিয়ায় আসছে চশমা প্রস্তুতকারী সংস্থা লেন্সকার্ট। ইতিমধ্যেই বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা সেবির থেকে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) আনার অনুমোদন পেয়েছে তারা। সূত্রের খবর, ভাইফোঁটার পর বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তি হতে পারে সংশ্লিষ্ট স্টার্ট আপ কোম্পানির। ওই দিন লেন্সকার্টের শেয়ার রকেট গতি পেলে বিনিয়োগকারীরা যে মোটা মুনাফা করবেন, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement

চশমা প্রস্তুতকারী গুরুগ্রামের স্টার্ট আপ সংস্থাটির জন্ম ২০০৮ সালে। এর দু’বছরের মাথায় অনলাইন ব্যবসায় নামে তারা। ২০১৩ সালে খুচরো বিপণি খোলে লেন্সকার্ট। চলতি বছরের জুলাইয়ে আইপিও আনার খসড়া নথি সেবির কাছে জমা করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। অর্থনীতির পরিভাষার যা ‘ড্রাফট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস’ বা ডিআরএইচপি হিসাবে পরিচিত। বিশ্লেষকদের দাবি, সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে ২০২৫ সালে ভারতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় আইপিও আনবে লেন্সকার্ট।

সূত্রের খবর, এই আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি ডলার তোলার পরিকল্পনা রয়েছে গুরুগ্রামের স্টার্ট আপের। ভারতীয় মুদ্রায় যেটা প্রায় ৮ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ টাটা ক্যাপিটাল এবং এলজি ইলেকট্রনিক্সের পর এ বছরের তৃতীয় বৃহত্তম আইপিও আনতে চলেছে লেন্সকার্ট। এতে নতুন ইস্যু এবং অফার ফর সেল (ওএফএস)— দু’টি শ্রেণিতেই শেয়ার বিক্রি করবে গুরুগ্রামের স্টার্ট আপ।

Advertisement

ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, আসন্ন আইপিতে মোট ১৩.২২ কোটির বেশি স্টক বাজারে ছাড়বে লেন্সকার্ট। এর মধ্যে ২ হাজার ১৫০ কোটি মূল্যের থাকবে নতুন শেয়ার। এ ছাড়া বিদ্যমান লগ্নিকারীরা ওএফএসে স্টক বিক্রি করতে পারবেন। সেই তালিকায় রয়েছেন স্টার্ট আপ সংস্থাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্‌জ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও) পীযূষ বনশল এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নেহা বনশল।

‘লেন্সকার্ট’ জানিয়েছে, আইপিও থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহার করা হবে। এ দেশের বিভিন্ন শহরে একাধিক নতুন বিপণি খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর জন্য ২৭২ কোটি টাকা খরচ ধার্য করেছে তারা। এ ছাড়া ২,৭০০টি স্টোরের ভা়ড়া, লিজ় এবং অন্যান্য খরচ মেটাতে ৫৯১ কোটি টাকা ব্যয় করবে চশমা প্রস্তুতকারী সংস্থাটি।

এ ছাড়া আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল ‘কৌশলগত উদ্যোগে’ ব্যবহারের কথা ঘোষণা করেছে লেন্সকার্ট। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক বিপণী অধিগ্রহণ, ব্র্যান্ডের মার্কেটিং এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ। চশমা প্রস্তুতকারী সংস্থাটির আইপিওর বুক রানিং লিড ম্যানেজার তালিকায় কোটাক মাহিন্দ্রা ক্যাপিটাল, মর্গ্যান স্ট্যানলি ইন্ডিয়া, অ্যাভেন্ডাস ক্যাপিটাল, সিটি গ্রুপ গ্লোবাল, অ্যাক্সিস ক্যাপিটাল এবং ইনটেনসিভ সার্ভিসেসের নাম রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement