কৃষির হাত ধরেই বাজার ফেরার আশায় বিমা শিল্প। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা বিশেষ ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মনে করছেন সাধারণ বিমা সংস্থার কর্তাদের অনেকেই। তাঁদের ধারণা, চলতি ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে দেশে সাধারণ বিমার ব্যবসা ২০-২৫% বাড়বে, কৃষি বিমার বাজার না-বাড়লে তা ১২ থেকে ১৫ শতাংশে আটকে থাকত বলেই তাঁদের দাবি। পাশাপাশি, তাঁরা জানান, বেশ কিছু নতুন সাধারণ বিমা সংস্থা বাজারে আসার কথা ঘোষণা করায় বাড়বে প্রতিযোগিতাও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, গত বছরে ফসল বিমা যোজনায় দেশের ৩০% কৃষিজমিকে আনা হয়েছে। ২০১৭-’১৮ সালে ৪০% এর ছাতার তলায় আনাই লক্ষ্য। আগামী আর্থিক বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৫০%। বজাজ অ্যালায়াঞ্জ জেনারেল ইনশিওরেন্সের সিনিয়র প্রেসিডেন্ট টি এ রামলিঙ্গম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এর ফলে কৃষিবিমার ব্যবসা দ্রুত বাড়বে। যার হাত ধরে বাড়বে সাধারণ বিমার ব্যবসা।’’ তিনি জানান, ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরে দেশের সাধারণ বিমা সংস্থাগুলির কৃষিবিমা বাবদ আয় হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছের যা ২৭ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকবে।
একই মত বিমা বিশেষজ্ঞ এবং ম্যাগমা এইচডিআই জেনারেল ইনশিওরেন্সের প্রাক্তন চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার স্বরাজ কৃষ্ণনের। তিনি বলেন, ‘কষিই বিমা সংস্থাগুলির আয় বাড়ানোর প্রধান ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
ফসল বিমা কী
• খরা-বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেয় এই বিমা
• চাষির আয় মার না-খেলে তিনি নতুন করে পুঁজি ঢালতে পারেন
রামলিঙ্গম জানান, বজাজ অ্যালায়াঞ্জ গত অর্থবর্ষে প্রিমিয়াম বাবদ মোট আয় করেছে ৭৮০০ কোটি টাকা। কৃষি বিমা বাবদ আয় ১৪০০ কোটি টাকা। এ বছর প্রিমিয়ামের লক্ষ্যমাত্রা ৯৬০০ কোটি। কৃষি বিমায় ১৭০০ কোটি আসবে বলে আশা।