নোকিয়া ৮ সিরোকো। ফাইল চিত্র।
নোকিয়ার ট্যাগলাইন হচ্ছে 'কানেকটিং পিপল'। বাজারে প্রবেশের জন্য লুমিয়া মডেল চালু করেছিল নোকিয়া, যা মূল্য এবং ব্যবহারকারীর সুবিধার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ছিল। এখন, নোকিয়া বাজারে উপস্থিত অন্যান্য কোম্পানির হ্যান্ডসেটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই নোকিয়া অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে এবং বাজারে একই বৈশিষ্টযুক্ত অন্য সংস্থার মোবাইলের দর যাচাই করে। এখন তারা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের হ্যান্ডসেটগুলি বাজারে চালু করেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, নোকিয়া এই পদ্ধতিতে সফল হলে অন্য কোম্পানিগুলির কাছে সেটা একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ হবে। এইচএমডি গ্লোবালের ব্যাবসায়িক প্রধান (উত্তর ও পূর্বাঞ্চল) অমিত গয়ালের অবশ্য দাবি, “আমরা ইতিমধ্যে ভারতে লাভজনক।”
ফিচার ফোন বিক্রি কমছে না
মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ের উচ্চতা থেকে অনেকটাই নেমে যাওয়ার পর, নোকিয়া পুনরায় চালু করার মাত্র এক বছরের মধ্যে আবার লাভজনক হয়ে উঠেছে। এই দাবি করেছেন সংস্থার শীর্ষকর্তারাই। তবে তাঁরা এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আর কিছু বলেননি। ফিনল্যান্ড-ভিত্তিক এই কোম্পানি ভারতে প্রেরিত হ্যান্ডসেটগুলির সংখ্যাও প্রকাশ করে না। এইচএমডি গ্লোবাল ১০ বছরের মেয়াদে নোকিয়া ব্র্যান্ডের বিশ্বব্যাপী লাইসেন্স পেয়েছে। গয়াল বলেন, “বিশ্বব্যাপী ৭০ লক্ষ ইউনিট ২০১৭ সালে বিক্রি হয়েছিল এবং ফিচার ফোনের বিক্রিতে লাভ সব থেকে বেশি হয়েছে। সংস্থার এই সেগমেন্টের উপর ফোকাস অব্যাহত থাকবে কারণ এই অংশ অভ্যন্তরীণ বাজারের ৫০ শতাংশ শাসন করে।”
নতুন আটটি স্মার্টফোন বাজারে আসতে চলেছে
নোকিয়ার পাঁচটি ফিচার ফোন এবং আটটি স্মার্টফোনের মডেল রয়েছে যা চালু আছে বা ঘোষণা করা হয়েছে। আসন্ন মডেলগুলো ভারতে নোকিয়ার বাজার জোরদার করবে, এটাই আশা করছে সংস্থা। গয়াল বলেন, “আমরা ফোন বাজারের সব বিভাগে উপস্থিত থাকতে চাই। ভবিষ্যতে নোকিয়া বিভিন্ন বিভাগেও কাজ করবে।” গয়াল আরও বলেন, নোকিয়া ভারত এবং বিশ্বব্যাপী শীর্ষ তিনটি হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি হতে চায় তবে তিনি কোনও সময়সীমা দেননি।
নোকিয়া এন ৬ মডেল।
নোকিয়ার প্রবর্তন হচ্ছে এই তিনটি ফোন দিয়ে
নোকিয়ার প্রবর্তন করা সর্বশেষ মোবাইলগুলি হল নোকিয়া ৬, নোকিয়া ৭ প্লাস, নোকিয়া ৮ সিরোকো ইত্যাদি। নোকিয়া ৮ সিরোকো ভারতে তৈরি করা হয় না। গয়াল বলেন, কোম্পানি অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ের জন্য একটি মূল্য কৌশল অনুসরণ করে। সংস্থা এখন একক নোকিয়া স্টোর কৌশলও দৃঢ় করার চেষ্টা করছে। আমরা নিজেদের কোম্পানির সাইটের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি করব এবং প্রধান ই-টেইলার্স-এর সঙ্গে যোগদান করব।”
নোকিয়া সর্বদা তার টেকসই এবং দীর্ঘকালীন ব্যবহারযোগ্য হ্যান্ডসেটের জন্য বিখ্যাত ছিল। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে, নোকিয়া ১১১০ এবং ৩২২০ কয়েক দশক ধরে সেরা বিক্রয় হওয়া সেট ছিল। দেখা যাক যে, নোকিয়া তাদের নতুন হ্যান্ডসেটে আরও কি পরিবর্তন আনে অন্য মোবাইল সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য।