গয়নার ধাঁচে হলমার্ক এ বার কয়লাতেও

হলমার্ক এ বার কালো সোনাতেও। নির্দিষ্ট মানের কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে সরবরাহ নিশ্চিত করতেই সোনার গয়নার ধাঁচে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোল কন্ট্রোলার অঞ্জনী কুমার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুতীর্থ ভট্টাচার্য শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০৩:০১
Share:

হলমার্ক এ বার কালো সোনাতেও। নির্দিষ্ট মানের কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে সরবরাহ নিশ্চিত করতেই সোনার গয়নার ধাঁচে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোল কন্ট্রোলার অঞ্জনী কুমার।

Advertisement

কলকাতায় কোল কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া আয়োজিত কয়লা নিয়ে এক সভায় অঞ্জনী কুমার বলেন, ‘‘প্রতিটি খনিতে যে-পরিমাণ কয়লা উৎপাদন হচ্ছে, তার মান নির্ধারণ করার পরে তাতে হলমার্কিং করা হবে, যাতে পরবর্তী কালে কোনও অভিযোগ না-ওঠে।’’

হলমার্ক ব্যবস্থা চালুর জন্য আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই খনিগুলির কয়লার মান নির্ধারণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মান যাচাই করার জন্য বিভিন্ন আইআইটির সহায্য নেবে কোল কন্ট্রোলারের দফতর।

Advertisement

তবে খনি থেকে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে অনেক সময়েই দুষ্কৃতীরা ভেজাল মিশিয়ে থাকে। নির্দিষ্ট মানের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পোঁছনো নিশ্চিত করতে এই সমস্যার সমাধান জরুরি বলে আলোচনাসভায় অনেক বিশেষজ্ঞই মন্তব্য করেন।

বর্তমানে অপ্রচলিত বিদ্যুতের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। এর ফলে তার সঙ্গে বিশেষ করে তাপবিদ্যুতের প্রতিযোগিতার একটা জায়গা ক্রমশ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন কোল ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই অবস্থায় উন্নত মানের কয়লা ব্যবহার করে কম খরচে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজন দ্রুত বাড়ছে। সেই কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে উন্নত মানের কয়লা জোগানো আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন পার্থবাবু।

এ দিকে কয়লার মান ঠিক না-থাকায় ক্রেতাদের অনেক সময়ে অযথা অতিরিক্ত করের বোঝাও বইতে হচ্ছে বলে জানান কোল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান সুতীর্থ ভট্টাচার্য। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুতীর্থবাবু বলেন, ‘‘কয়লা হাতে পাওয়ার পরে ক্রেতাকে তার দাম সংশ্লিষ্ট কর-সহ মেটাতে হয়। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা গিয়েছে, যে-মানের কয়লার জন্য তিনি দাম দিয়েছেন, হাতে পেয়েছেন তার থেকে নিম্নমানের কয়লা, যার দাম কম। যে অতিরিক্ত দাম ক্রেতা দিয়েছেন, কোল ইন্ডিয়া তা ফেরত দিয়ে দেয়। কিন্তু ওই দামের ভিত্তিতে যে কর ক্রেতা দিয়েছেন, তা ফেরত পাওয়া যায় না। এতে ক্রেতা আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন।’’

সুতীর্থবাবু জানান, এই সমস্যার সমাধান কী ভাবে করা যায়, সেটাও খতিয়ে দেখছে তাঁর সংস্থা।

এ দিকে ডানকুনিতে কয়লা থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরির কারখনা গড়ার যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার জন্য কোল ইন্ডিয়া আগ্রহপত্র আহ্বান করেছে বলে সুতীর্থবাবু জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন