সদ্য বর্ষা পেরিয়েছে। পুজোর শুরু হতেও আর বেশি দিন বাকি নেই। রাতের শহরের হাওয়ায় হালকা শিরশিরানি ভাব। এর মধ্যেই মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মশা। চারিদিকে মশা হঠাও অভিযানের পরে মানুষ সতর্ক হলেও ডেঙ্গি আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। তার উপরে প্লেটলেটের অভাবে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২৯ হাজার ১৬৬তে। মৃত্যু হয়েছিল ২৪৫ জনের। এই বছরেও সংখ্যাটা নেহাৎ কম নয়।
দেশের বিভিন্ন শহরেই রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে উঠেছে ডেঙ্গি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতি বছর। বাড়ছে মৃত্যুর খবরও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামনে আসছে প্লেটলেট না মেলার তত্ত্ব। মানুষের শরীরে এই প্লেটলেটের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার ৪-৫ দিন পর থেকেই রোগীর শরীরে প্লেটলেট কমতে থাকে। একটা পর্যায়ের পরে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। প্লেটলেটের মাত্রা প্রতি মিলিগ্রাম রক্তে ২০,০০০-এ এসে ঠেকলে রোগীকে বাইরে থেকে প্লেটলেট দিতে হয়। না হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর সবচেয়ে বড় সমস্যার বিষয় হল, প্লেটলেট ৫ দিনের বেশি সঞ্চয় করা যায় না। যার ফলে কোনও রোগীর প্লেটলেটের প্রয়োজন হলে, ডোনারেরও প্রয়োজন হয়ে প়ড়ে। বর্তমান সময়ে যা রীতিমতো কষ্টকর ব্যাপার।
এই দুঃসময়ে দাঁড়িয়ে, গত বছরের মতো এই বছরেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গোদরেজ হিট। অ্যাপোলোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তদের সাহায্য করতে তৈরি করা হয়েছে একটি অনলাইন কমিউনিটি। বর্তমানে যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ১ লক্ষের বেশি ডোনার। ডেঙ্গি রোগীরা যাতে খুব সহজে প্লেটলেট পেতে পারেন তার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর - ৭৮ ৭৮ ৭৮ ২০ ২০। মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই এবং কলকাতা - এই ৬টি শহরে এই নম্বরটি চালু রয়েছে। ডেঙ্গি রোগীদের প্লেটলেটের প্রয়োজন হলেই ফোন করুন এই নম্বরে।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই প্রচুর জীবন নষ্ট হয়েছে। তাই আর না। এই রোগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে, ডেঙ্গি রোগীদের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন আপিনও। গোদরেজ হিট/ট্র্যাক দ্য বাইট - এ গিয়ে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করুন প্লেটলেট দানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা।