আসরাফ জামাল ও রহিম মোমিন
দু’জনেই মাঝপথে লেখা-পড়ার পাট চুকিয়েছেন। মালদহের খালতিপুরের রহিম মোমিন পেশায় রাজমিস্ত্রি। আর হুগলির হাজিগড়ের আসরফ জামাল গয়নার কারিগর। বিশ্ব-মঞ্চে দেশের হয়ে দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ পেয়ে আচমকা খবরে বাংলার এই দুই যুবক।
বিভিন্ন পেশায় দক্ষতার স্বীকৃতি দিতে দু’বছরে এক বার হয় বিশ্ব দক্ষতা প্রতিযোগিতা ‘স্কিল অলিম্পিক’। এ বছর বসবে আবু ধাবিতে। অংশ নেবেন প্রায় ৭০টি দেশের ৫০টি পেশার ১,২০০ প্রতিযোগী। তালিকায় রয়েছে ভারতের ২৮ জন। আঞ্চলিক ও জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাঁদের বেছেছে ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (এনএসডিসি)। তাতেই সামিল ২১ বছরের রহিম ও ১৮ বছরের আসরফ।
রহিম দিল্লির সংস্থায় জোগাড়ের কাজ করতেন। এখন রাজমিস্ত্রি। ওই সংস্থাটির হয়েই বিশ্ব-মঞ্চে লড়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন। পুণে-তে হয়েছে এনএসডিসি-র প্রশিক্ষণ। অন্য দিকে, আসরফ শুরু করেছিলেন বেঙ্গালুরুতে। গয়নার কারখানায় টুকটাক জোগাড়ের কাজে। ফাঁক-ফোকড়ে স্রেফ দেখে দেখে শেখা গয়না তৈরির কাড়িকুড়ি। তাতে শান দিয়ে অর্জিত দক্ষতাকেই মেলে ধরবেন এ বার। ইনদওরে প্রশিক্ষণ হয়েছে তাঁর।
দু’জনেরই দাবি, তাঁদের পেশার সম্ভাবনা সম্পর্কে নতুন দিশা দেখাচ্ছে এনএসডিসি-র উদ্যোগ। প্রশিক্ষণ নিতে এক বার ডেনমার্কও গিয়েছিলেন রহিম। তাঁর কথায়, ‘‘ইটের উপর ইট গেঁথে নির্মাণের এমন কাজ যে হয়, প্রশিক্ষণ না-পেলে জানতামই না।’’ আর আসরফের কথায়, ‘‘চোখ খুলে গিয়েছে।’’ এই প্রেরণা তাঁদের অসমাপ্ত পড়াশোনা শুরুর স্বপ্নও দেখাচ্ছে।
জিতবেন? আবু ধাবি রওয়া আগে দু’জনেরই প্রত্যয়ী জবাব, ‘‘দেশের নাম রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’’