দূষণ কেলেঙ্কারির দায় নিয়ে ফোক্সভাগেনের সিইও মার্টিন উইন্টারকর্নের সরে যাওয়াই শেষ নয়। আগামী দিনে ছাঁটাই হতে পারেন সংস্থার আরও বেশ কয়েক জন কর্তা। সম্ভাব্য তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে আমেরিকায় সংস্থার কর্তা মাইকেল হর্ন এবং গোষ্ঠীর বিক্রি বিভাগের প্রধান ক্রিশ্চান ক্লিঙ্গলারের। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই উইন্টারকর্নের উত্তরসূরি বাছতে বৈঠকে বসবে ফোক্সভাগেন পর্ষদ। তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে ইতিমধ্যেই ঘোরাফেরা করছে বেশ কয়েকটি নাম। যার মধ্যে রয়েছেন ফোক্সভাগেনরই পোর্শে ব্র্যান্ডের প্রধান মাথিইয়াস মুলার, অডি-র শীর্ষ কর্তা রুপার্ট স্ট্যাডলার এবং ফোক্সভাগেন ব্র্যান্ডের কর্ণধার হার্বার্ট ডায়াস।
দুনিয়া জুড়ে সাড়া ফেলে দেওয়া দূষণ কেলেঙ্কারির জেরে শুক্রবারই উইন্টারকর্নকে সরানো হবে বলে খবর ছিল সংস্থা সূত্রেই। তার আগে বুধবারই এই কেলেঙ্কারির জেরে পদত্যাগ করেছেন তিনি। কেলেঙ্কারির বিষয়ে কিছু জানতেন না দাবি করে বলেছিলেন, গত কয়েক দিনের ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত। ঘুরে দাঁড়াতে নতুন করে দৌড় শুরু করতে হবে ফোক্সভাগেনকে। তার পথ প্রশস্ত করতেই সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
এ দিকে, ফোক্সভাগেনই শুধু নয়, আর এক জার্মান গাড়ি নির্মাতা বিএমডব্লিউ-র গাড়িতেও দূষণ মাত্রা বেশি বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ইউরোপীয় আইনের তুলনায় সেগুলিতে ১১গুণ বেশি নাইট্রোজেন অক্সাইড বেরোয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, স্পেনে ফোক্সভাগেনের শাখা সিয়াটও তাদের ৫ লক্ষ গাড়িতে ত্রুটিযুক্ত ইঞ্জিন লাগিয়েছিল বলে খবর মিলেছে। অভিযোগ স্বীকারও করেছে তারা। পাশাপাশি, ভারতে ফোক্সভাগেনের গাড়িতে দূষণ সংক্রান্ত কোনও কারচুপি করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দিল কেন্দ্র।