—প্রতীকী চিত্র।
ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অসন্তোষ বাড়ছে। এ কথা জানিয়ে খোদ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর স্বামীনাথন জে-র অভিযোগ, গ্রাহকেরা সমস্যার কথা জানালেও তার সমাধানে ব্যাঙ্কগুলিকে ঠিক মতো উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে না বলে অজস্র নালিশ আসছে। অনেক ক্ষেত্রে বিপাকে পড়া ওই সব মানুষদের প্রতি ব্যাঙ্ক কর্মী-অফিসারেরা প্রয়োজনীয় সহানুভূতিটুকুও দেখাচ্ছেন না। এ নিয়ে ব্যাঙ্কিং শিল্পকে সতর্ক করেছেন তিনি।
সম্প্রতি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ব্যাঙ্ক ম্যানেজমেন্টের (এআইবিএম) এক সভায় স্বামীনাথন বলেন, ‘‘স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় এখন দ্রুত ব্যাঙ্কের কাজ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে নেট মারফত পরিষেবা। কিন্তু তা পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সমস্যা মেটাতে এবং সেই সংক্রান্ত অভিযোগের সমাধানে ব্যাঙ্ক কর্মীরা চটজলদি পদক্ষেপ করছেন না। এমনকি গ্রাহকদের প্রতি তাঁদের সহমর্মিতারও ঘাটতি থাকছে।’’ তাঁর দাবি, প্রতারণা-সহ নানা কারণে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বিশেষত ডিজিটাল লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ বাড়ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাহায্যের ব্যাপারে ব্যাঙ্ক কর্মীরা উদাসীন হওয়ায় বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তৈরি হচ্ছে হতাশা। তবে তাঁর দাবি, ‘‘ব্যাঙ্কের প্রকল্প বা পরিষেবা নয়, আমার চোখে সব থেকে বড় সমস্যা গ্রাহকদের প্রতি ব্যাঙ্ক কর্মীদের সহানুভূতিশীল মনোভাবের অভাব।’’
ব্যাঙ্কিং মহলের উদ্দেশে স্বামীনাথনের বার্তা, “প্রযুক্তি লেনদেনে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু গ্রাহকদের সঙ্গে কর্মীদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে, তা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা বাড়াবে। কর্মীদের যোগ্যতার সঙ্গে বিচারবুদ্ধির, আইনের সঙ্গে চালু প্রথার এবং তত্ত্বের সঙ্গে বাস্তব জ্ঞানের মেলবন্ধনই একজনকে প্রকৃত ব্যাঙ্ক কর্মী করে তুলবে।’’ তাঁর মতে, অতীতের থেকে বর্তমানের ব্যাঙ্কিং ব্যবসা অনেক আলাদা। এখন এতে সাইবার প্রতারণা, তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকির মতো বিষয়গুলি যুঝতে হচ্ছে। ফলে সাধারণ গ্রাহকের উদ্বেগও অনেক বেশি। বিশেষ করে ব্যাঙ্কিং যেহেতু অপরিহার্য পরিষেবা। কাজেই উন্নতি করতে হলে গ্রাহকদের ভরসা জেতা দরকার। যেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হচ্ছে না।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে