SEBI on Adani Group

হতে পারে জরিমানা, লাইসেন্স বাতিলও! আদানির দুই বিদেশি লগ্নিকারীকে চরম হুঁশিয়ারি দিল সেবি

আদানি গোষ্ঠীতে লগ্নিকারী মরিশাস ভিত্তিক দু’টি তহবিলকে এ বার জরিমানা বা লাইসেন্স বাতিল হতে পারে বলে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী ‘সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা সেবি। মার্কিন শর্টসেলার ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’র তোলা স্টক কেলেঙ্কারির রিপোর্টে নাম রয়েছে সংশ্লিষ্ট দু’টি ফান্ডের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ১৮:১৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শিল্পপতি গৌতম আদানির। তাঁর সংস্থায় লগ্নি করা মরিশাসের দু’টি তহবিলকে এ বার কড়া হুঁশিয়ারি দিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী ‘সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা সেবি। গত দু’বছর ধরে বলা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট তহবিলগুলি স্টক সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করছে না বলে অভিযোগ। ফলে বিপুল জরিমানা, এমনকি লাইসেন্স বাতিলের মত শান্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলেও ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।

Advertisement

২০২৩ সালে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারে কারচুপির অভিযোগ তুলে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন শর্টসেলার ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। এর পরই শিল্পপতি গৌতমের সংস্থা এবং তার ১৩ জন অফসোর লগ্নিকারীর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সেবি। আদানি গোষ্ঠী অবশ্য শেয়ারে কারচুপির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর রিপোর্ট প্রকাশিত হতেই আতঙ্কিত লগ্নিকারীদের মধ্যে আদানিদের স্টক বিক্রির ধুম পড়ে যায়। সেগুলির বেশির ভাগই তাঁরা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেবির নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত যে কোনও সংস্থার কমপক্ষে ২৫ শতাংশ স্টক লগ্নিকারীদের হাতে থাকা বাধ্যতামূলক। মার্কিন শর্টসেলারটি দাবি করে, সেই নিয়ম ভঙ্গ করেছে আদানি গোষ্ঠী। এ ব্যাপারে লগ্নিকারী অফসোর তহবিলের জড়িত থাকার অভিযোগে তোলে ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরিশাস ভিত্তিক ওই দু’টি তহবিল হল এলারা ইন্ডিয়া অপরচুনিটিজ় ফান্ড এবং ভেসপেরা ফান্ড। চলতি বছরের ২৮ মার্চের নথিতে সেবি দাবি করে, সংশ্লিষ্ট তহবিল দু’টি আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব দেয়নি। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানটি তাদের হুঁশিয়ারি দিল বলে সূত্র মারফৎ মিলেছে খবর।

রয়টার্স জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট তহবিল দু’টি ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিদেশি লগ্নিকারী (ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টর বা এফপিআই) হিসাবে স্বীকৃত। কী কারণে সেবিতে বিস্তারিত তথ্য দিতে দেরি হচ্ছে, তা তারা জানায়নি। ফলে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানটির তদন্ত বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দু’টি সূত্রের কথা উল্লেখ করে রয়টার্স লিখেছে, মরিশাসের তহবিল দু’টি সেবির সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক। জরিমানা দিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চাইছে তারা। তবে এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ফান্ড দু’টি কোনও রকমের দোষ স্বীকার করেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement