আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের সুদ না বাড়ানো এবং তার জেরে সারা বিশ্বের বিভিন্ন শেয়ার বাজারের উত্থান। এরই পাশাপাশি দেশেও একগুচ্ছ কারণে শুক্রবার চাঙ্গা হয়ে উঠল ভারতের শেয়ার বাজার। ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশের আগের দিন।
বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় ৬৬৫.৪৪ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স পৌঁছে যায় ৩৬,২৫৬.৬৯ পয়েন্টে। নিফ্টিও ওঠে ১৭৯.১৫ পয়েন্ট। থামে ১০,৮৩০.৯৫ অঙ্কে। শেয়ারের পাশাপাশি এ দিন টাকার দরও বেড়েছে। ১ ডলারের দাম ৪ পয়সা কমে হয়েছে ৭১.০৮ টাকা।
বাজার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, গত চার দিন টানা পড়েছে বাজার। যার ফলে বহু ভাল শেয়ারের দাম অনেকটাই কমেছে। পাশাপাশি, যে সব লগ্নিকারী হাতে শেয়ার না-থাকা সত্ত্বেও তা আগাম লেনদেনে বিক্রি করে রেখেছিলেন, তাঁদের এ দিনই শেয়ার হস্তান্তর করার কথা ছিল। এর জন্য প্রস্তুত হতে তাঁরা পড়তি বাজারে শেয়ার কিনতে নামেন। এই দু’টি কারণই মূলত এ দিন সূচককে উপরে উঠতে সাহায্য করেছে। বাজার সূত্রের খবর, অন্তর্বর্তী বাজেট হলেও লগ্নিকারীদের একাংশের আশা, কেন্দ্র এমন কিছু ঘোষণা করতে পারে যা কৃষি ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করবে। পড়তি বাজারে শেয়ার কিনেছেন তাঁরাও। এ দিন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে ৩,০০৬ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
তবে বাজার বিশেষজ্ঞ তথা দেকো সিকিউরিটিজের কর্ণধার অজিত দে মনে করিয়ে দিয়েছেন, সূচকের এই উত্থান দেখে বাজারের প্রকৃত অবস্থা বোঝা সম্ভব নয়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সূচকের আওতায় থাকা গোটা দশেক সংস্থা নিয়েই লেনদেন চলছে।’’