প্রতীকী ছবি।
হরিণঘাটায় রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের নিজস্ব কসাইখানা রয়েছে। আর ভুটানে মাংস রফতানি করতে এ বার আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁওয়ে আধুনিক প্রযুক্তির কসাইখানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঠিক হয়েছে, অভিজ্ঞ বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে সেটি বানানোর দায়িত্বে থাকবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। দফতর সূত্রের খবর, প্রকল্পটি গড়তে ৩০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
প্রশাসনের বক্তব্য, সব ধরনের মাংসেরই ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু ৯০% মাংসই জয়গাঁও হয়ে চোরাপথে চালান হয় ভুটানে। সরকারেরও কোনও রাজস্ব আদায় হয় না। রাজ্য প্রশাসন জানতে পেরেছে, প্রতি দিন কমপক্ষে ছয়-আট টন গরু, মোষ, ভেড়া, ছাগল, মুরগির মাংস জয়গাঁও হয়ে থিম্পুতে চোরাপথে যাচ্ছে। অসংগঠিত ভাবে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই জয়গাঁও থেকে এই ব্যবসা চালাচ্ছেন। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর সেই বাজারই ধরতে চাইছে। তাতে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান যেমন হবে, সরকারেরও আয় বাড়বে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের এক কর্তা জানান, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মোড়কজাত করে শুধুমাত্র ভুটানেই সব ধরনের প্রাণীর মাংস রফতানি করা হবে। প্রশাসনের বক্তব্য, হরিণঘাটার কসাইখানায় নির্দিষ্ট কিছু প্রাণীর মাংসই পাওয়া যায়। কিন্তু অন্য দফতরের উদ্যোগে কসাইখানা নেই বললেই চলে। তবে কলকাতা-সহ বেশ কিছু শহরে স্থানীয় পুরসভাগুলির আওতায় কিছু কসাইখানা চালু আছে।
খুঁটিনাটি
• প্রশাসনের কাছে খবর, জয়গাঁও হয়ে চোরাপথে রোজ ৬-৮ টন মাংস ভুটানে যাচ্ছে।
• রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
• রাজ্যের পরিকল্পনা, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জয়গাঁওয়ে তৈরি করা হবে আধুনিক প্রযুক্তির কসাইখানা।
• জমি লাগবে ২ একর। খরচ ৩০ কোটি টাকা।
সূত্রের খবর, প্রকল্পের জন্য দু’একরের মতো জমি লাগবে। বিষয়টি দেখছে জেলা প্রশাসন। তবে প্রকল্প শুরুর আগে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনকে স্থানীয় উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে কথা বলে কোথায়, কী ভাবে কসাইখানাটি তৈরি করা যায় তা নিয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরকে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।