হিন্দমোটর কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া না-মেটানো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ নতুন করে কোনও জমি-জমা, সম্পত্তি লেনদেন করতে পারবেন না। এ ধরনের বাণিজ্যিক প্রক্রিয়ার উপর বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।
ইতিমধ্যেই তার অ্যাম্বাসাডর ব্র্যান্ড ও ট্রেড মার্ক ফরাসি সংস্থা পুজো-কে ৮০ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে সি কে বিড়লা গোষ্ঠীর সংস্থা হিন্দুস্তান মোটরস। কিন্তু নতুন বাণিজ্যিক লেনদেনে এ দিন স্থগিতাদেশ দিল আদালত।
চলতি বছরেই সিটু এবং চন্দননগরের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতি শ্রমিকদের বকেয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তাঁদের মূলত তিনটি দাবি ছিল: ১) হিন্দমোটর কারখানায় সাসপেনশন অব ওর্য়াক বাতিল করতে হবে। কারণ বিষয়টি বেআইনি। ২) হিন্দমোটরের সম্পত্তি কেনাবেচা চলবে না। ৩) শ্রমিকদের বকেয়া মোট ২৮ কোটি টাকা অবিলম্বে মেটাতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর এজলাসে মামলাটির শুনানি ছিল। আদালত সূত্রের খবর, যত দিন মামলা চলবে তত দিন এবং পাশাপাশি শ্রমিকদের বকেয়া না-মেটানো পর্যন্ত কারখানার জমি কেনা-বেচা বা অন্য কোনও প্রক্রিয়া কর্তৃপক্ষ চালাতে পারবেন না। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অবশ্য চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
পিএফের টাকা বাকি অন্তত ৬০০ অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকের। কর্তৃপক্ষ যে দেড় হাজার শ্রমিককে স্বেচ্ছাবসর দিয়েছিলেন, তাঁদের বকেয়াও মেটাননি বলে অভিযোগ। শ্রমিকদের একটি সমবায় সমিতি রয়েছে। সেই সংক্রান্ত কাগজপত্রও কর্তৃপক্ষ আটকে রেখেছেন বলে শ্রমিকদের অভি়যোগ।
শ্রমিক কল্যাণ সমিতির আইনজীবী সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘শ্রমিকদের বকেয়া ২৫ কোটি ও সমবায় সমিতির পাওনা ৩ কোটি। অর্থাৎ মোট ২৮ কোটি না-মেটানো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ জমি বিক্রি বা অন্য কোনও প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন না বলে বিচারপতি রায় দিয়েছেন।’’ সিটু-র পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। শ্রমিকদের অভিযোগ, ‘‘কর্তৃপক্ষ বকেয়া মেটাননি, অথচ ব্র্যান্ড বেচে দেওয়া হল বিদেশি সংস্থাকে। আদালতের রায়ে আমরা কিছুটা অন্তত আশ্বস্ত।’’ দেখা যাক এর পর কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে কি না।’’