প্রতীকী ছবি।
দিন দিন ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরে কমছে সুদের হার, যার জেরে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও অনেকেই লগ্নি করছেন মিউচুয়াল ফান্ডে। এই তহবিলে ব্যাঙ্কের রেকারিং ডিপোজ়িট বা আরডির মতো প্রতি মাসে টাকা রাখতে পারেন বিনিয়োগকারী। শুধু তা-ই নয়, বছরে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ মিললে মাত্র ২০ বছরে পাঁচ কোটি টাকার মালিকও হতে পারবেন তিনি। এর জন্য প্রতি মাসে কত অর্থ করতে হবে জমা? আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
দু’টি পদ্ধতিতে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের করা যায়। একটির নাম লাম্পসাম লগ্নি। অপরটিকে বলে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি। দ্বিতীয় নিয়মে বার্ষিক সুদের হার ১২ শতাংশ হলে ২০ বছরে পাঁচ কোটির মালিক হতে প্রতি মাসে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে লগ্নি করতে হবে ৫১ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে দু’দশক শেষে এসআইপি তহবিলটি ৫ কোটি ৯ লক্ষ টাকায় গিয়ে পৌঁছোবে।
কিন্তু, সুদের হার ১০ শতাংশে নেমে গেলে ২০ বছরের মধ্যে পাঁচ কোটি টাকায় পৌঁছোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। এসআইপি ক্যালকুলেটরের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মাসে লগ্নির অঙ্ক ৬৬ হাজার টাকা হলে দু’দশক শেষে সুদেমূলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পাবেন ৫.০৫ কোটি টাকা। আবার সুদের হার ১৪ শতাংশে উঠে গেলে গ্রাহককে মাসে ৩৮ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করলেই হবে। ওই সুদের হারে ২০ বছর শেষে সুদেমূলে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে পুরো পাঁচ কোটি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই তহবিলে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)