Narendra Modi

প্রধানমন্ত্রীর ‘দেশীয়’ বার্তায় প্রমাদ গুনছে শিল্প

শিল্পের বক্তব্য, চিনা পণ্য বয়কটের কথা মোদী সরাসরি বলেননি। কিন্তু ‘দু’য়ে দু’য়ে চার করে’ যদি কেন্দ্র এবং বিভিন্ন সংগঠনে চিনা পণ্যের বিরোধিতা বাড়ে, তবে বিপদে পড়বে এ দেশের বহু সংস্থাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ০৬:০১
Share:

নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।

চিনা পণ্য আমদানিতে রাতারাতি দেওয়াল তুললে, জোগান-শৃঙ্খল ছেঁড়ার আশঙ্কার কথা বারবার বলছে দেশের শিল্পমহলের একাংশ। যে ভাবে ওই পড়শি দেশের পণ্য বয়কটের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন পথে নেমেছে, তা-ও ঘুম কেড়েছে তাদের। এই অবস্থায় রবিবার লাদাখের প্রসঙ্গে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দেশীয় পণ্য ব্যবহারের ডাক সমস্যা আরও বাড়াতে পারে বলে চিন্তিত তারা।

Advertisement

এ দিন রেডিয়ো-বার্তা ‘মন কি বাতে’ নরেন্দ্র মোদী বলেন, “দেশের সীমান্ত রক্ষায় যে সঙ্কল্প নিয়ে সেনারা শহিদ হতে রাজি, তা আমাদেরও আত্মস্থ করা উচিত। চেষ্টা হওয়া উচিত, যাতে সীমান্ত রক্ষায় শক্তি বাড়ে। আরও সক্ষম ও আত্মনির্ভর হয় ভারত। এটিই শহিদদের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাঞ্জলি। অসম থেকে রজনিজি আমাকে লিখেছেন, পূর্ব লাদাখের ঘটনা দেখে পণ করেছেন, শুধু স্থানীয় (দেশীয়) পণ্য কিনবেন। তার গুণগান করবেন। এমন বার্তা আসছে সব প্রান্ত থেকে।”

শিল্পের বক্তব্য, চিনা পণ্য বয়কটের কথা মোদী সরাসরি বলেননি। কিন্তু ‘দু’য়ে দু’য়ে চার করে’ যদি কেন্দ্র এবং বিভিন্ন সংগঠনে চিনা পণ্যের বিরোধিতা বাড়ে, তবে বিপদে পড়বে এ দেশের বহু সংস্থাই। কারণ, ইস্পাত, বিদ্যুৎ শিল্পের যন্ত্র, গাড়ির যন্ত্রাংশ, মোবাইল-সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিন পণ্য ও তাদের যন্ত্রাংশ থেকে বস্ত্র ও ওষুধের কাঁচামাল— নানা ক্ষেত্রে চিন-নির্ভরতা রাতারাতি যাওয়ার নয়। এক শিল্পকর্তার কথায়, চিনা পণ্য বয়কটের হিড়িকে করোনা থেকে নজর হয়তো ঘুরবে। কিন্তু তার মাসুল গুনবে শিল্প।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement