দেশের টেলিকম শিল্পের মাথায় প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা দেনার বোঝা। এখনও সর্বত্র ৪জি প্রযুক্তিও ছড়ানো যায়নি। তবু চর্চা শুরু হয়েছে আরও বেশি গতির ৫জি প্রযুক্তি নিয়ে। হাতে গোনা কিছু দেশে পরীক্ষামূলক ভাবে কাজ চলছে যা নিয়ে।
আগামী দিনে সেই দৌড়ে সামিল হতে এই প্রথম টেলিকম শিল্পের সঙ্গে একজোট হচ্ছে ইন্টারনেট বা ডিজিটাল পরিষেবা সংস্থাগুলিও। বিষয়টির রূপরেখা তৈরির জন্য সকলকে এক ছাতার তলায় আনতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে ‘৫জি ইন্ডিয়া ফোরাম’ গড়েছে সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিওএআই)।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ৫জি প্রযুক্তি বহু যোজন পিছনে ফেলবে ৪জি-কেও। এক সেকেন্ডে ১ জিবি ‘ডেটা’ পাঠানো যায় ৪জি-তে। ৫জি-তে যাবে তার দশ গুণ বেশি। কয়েক সেকেন্ডে নামানো যাবে উন্নত মানের (এইচডি) সিনেমা। বিস্তৃত হবে ‘ইন্টারনেট অব থিঙ্গস’ পরিষেবা (চালকবিহীন গাড়ি চলাচল কিংবা বাড়ির বাইরে থেকে ভিতরের বৈদ্যুতিন পণ্য নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি)। অনেক বেশি যন্ত্র এক সঙ্গে কাজ করতে পারবে ৫জি-র আওতায়। এ নিয়ে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপানের মতো কিছু দেশে। ২০২০-এ বিশ্বে তা বাণিজ্যিক ভাবে চালু হবে বলে ধারণা।
কিন্তু ভারতে যেখানে ৪জি-ই পুরোদস্তুর ছড়ায়নি, সেখানে ৫জি নিয়ে এখনই উদ্যোগী হওয়া কেন? এ প্রসঙ্গে টেলিকম শিল্পের ব্যাখ্যা, ৪জি-তে যে ভাবে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছিল ভারত, তা ৫জি-তে একেবারেই চায় না তারা। সিওএআই-এর ডিজি রাজন এস ম্যাথুজও বলেছেন, ৫জি আর শুধু পছন্দ বা অপছন্দের বিষয় নয়। ভারতের জন্যও সেটাই ভবিষ্যৎ। আর সে জন্যই একজোট হওয়া জরুরি নতুন প্রযুক্তির সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য।