শুল্ক নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব যেমন দিলেন, তেমনই একই দিনে চিপের বাজারে চিনা আধিপত্য ঠেকাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিঙ্গাপুরের সংস্থা ব্রডকমের প্রস্তাব ছিল মার্কিন চিপ তৈরির সংস্থা কোয়ালকম অধিগ্রহণের। ১১,৭০০ কোটি ডলারের ওই লেনদেন হলে সেটিই হত বিশ্বের তিন নম্বর চিপ নির্মাতা। কিন্তু তাতে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অজুহাতে সেই প্রস্তাব ভেস্তে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তাঁর যুক্তি, কোয়ালকম এশীয় সংস্থার হাতে গেলে ক্ষতি আমেরিকার। কারণ সে ক্ষেত্রে ওই লোভনীয় বাজার কব্জা করবে চিনা সংস্থা। অনেকের মতে, যা হুয়েই। সেই জুজুতেই ট্রাম্প এই অধিগ্রহণে ছাড়পত্র দেওয়ার ঘোর বিরোধী।
এ দিকে, সম্প্রতি ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামে আমেরিকা চড়া আমদানি শুল্ক বসানোর পরে এককাট্টা হয়ে পাল্টা দেওয়ার বার্তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ট্রাম্প জানান, তাঁর বাণিজ্য সচিব উইলবার রস শুল্ক নিয়ে আলোচনার টেবিলে ইইউ-র সঙ্গে বসবে। তবে কথা হবে মার্কিন পণ্যে ইউরোপীয় অঞ্চলের বসানো বড় অঙ্কের শুল্ক তোলা নিয়ে।
এ দিন ট্রাম্পের টুইট, ‘‘রস ইইউর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন আমেরিকার বিরুদ্ধে তাঁদের ব্যবহৃত বিপুল শুল্ক তোলার বিষয়টি নিয়ে। আমাদের কৃষক ও উৎপাদনকারীরা এর জেরে ভুগছেন।’’
ট্রাম্প বলেছিলেন, কোনও দেশ মার্কিন শুল্কে ছাড় চাইলে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে। যা শুনে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি ছিল, এ ভাবেই দরাদরির পথ খোলা রেখে বিশ্ব জুড়ে মার্কিন পণ্যকে করমুক্ত করার কৌশল নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। সব মার্কিন পণ্যে পাল্টা কর বসানোর হুমকি দিলেও, তখনই শুল্ক থেকে রেহাই চেয়ে কথা বলার ইঙ্গিত দেয় ইউরোপীয় অঞ্চল।