West Bengal Lockdown

বেতন নিয়ে ধিকিধিকি ক্ষোভ চটকলের অন্দরে

আইএনটিইউসি সমর্থিত ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব জুট ওয়ার্কার্সের ভয়, মজুরির বদলে অগ্রিম দেওয়া মানেই পরে তা বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্র ও রাজ্যের নির্দেশ ছিল, লকডাউনে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের মজুরি কাটা যাবে না। অথচ বাংলার অধিকাংশ চটকলেই ২৪ মার্চ থেকে বেতন বাকি পড়েছে শ্রমিকদের। মিটিয়েছে মাত্র দু’টি। কয়েকটি আবার অগ্রিম হিসেবে কিছু টাকা দিয়েছে। যা আগামী দিনে বেতন থেকে কেটে নেওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। সংশ্লিষ্ট মহলে খবর, এর ফলে চটকলের অন্দরে দানা বাঁধছে ক্ষোভ। একাংশের দাবি, চটের বস্তার ঘাটতি মেটাতে সম্প্রতি রাজ্য চটকল খোলার অনুমতি দিলেও, এই ক্ষোভ বাড়লে সেই চেষ্টা জলে যাবে।

Advertisement

সিটু-সহ বেশ কিছু ইউনিয়ন জানিয়েছে, আর ক’দিন অপেক্ষা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে। আইএনটিইউসি সমর্থিত ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব জুট ওয়ার্কার্সের ভয়, মজুরির বদলে অগ্রিম দেওয়া মানেই পরে তা বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে। তবে মালিকদের একাংশের দাবি, উৎপাদন পুরোদমে শুরু না-হলে কী করে বেতন দেবেন তাঁরা! যেখানে উৎপাদন খরচের ৩০% যায় শুধু ওই খাতেই। রাজ্যের নির্দেশ অনুযায়ী কম কর্মীতে হলেও অবিলম্বে উৎপাদন শুরু করা যে জরুরি, তা মানছে তৃণমূল সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়নগুলিও। জানাচ্ছে, সব কর্মীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজে আনা হোক। তবে একই সঙ্গে তাদের দাবি, বেতন নিয়ে রাজ্যের নির্দেশ মানতে বাধ্য চটকল মালিকেরা। কর্মীদের হকের টাকা দিতেই হবে।

সিটু সমর্থিত বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু জানান, কেন্দ্র ও রাজ্যের নির্দেশ মতো লকডাউনের সময়কার বেতন না-মেটালে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন তাঁরা। আইএনটিইউসি সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গণেশ সরকারের দাবি, বেতন না-দিয়ে যে সব চটকল অগ্রিম দিচ্ছে, জটিলতা তৈরি হলে তারাও ক্ষোভের মুখে পড়বে। তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের সভানেত্রী দোলা সেনের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অন্য সব শিল্পের মতো চটকল শ্রমিকদেরও সম্পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ রাজ্য স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে সবেতন ছুটি দেওয়ার। তাঁরা চান, উৎপাদন চলুক। মালিকেরা প্রাপ্য মজুরি ও বকেয়া মেটান।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনার ধাক্কায় আমেরিকায় তেলের দামে ঐতিহাসিক পতন, পরে কিছুটা বৃদ্ধি দামে

লকডাউনে পশ্চিমবঙ্গের ৫৯টি চটকলে উৎপাদন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি রাজ্য ১৫% কর্মী নিয়ে উৎপাদন শুরুর অনুমতি দিয়েছে। গত দু’দিনে কিছু চটকল ৫০ জন কর্মী দিয়ে উৎপাদন শুরুর জন্য রাজ্যের সম্মতি পেলেও, মালিকদের বক্তব্য এত কম কর্মীতে কাজ করা অসম্ভব। ফলে মঙ্গলবারও উৎপাদন শুরু হয়নি বলেই খবর।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন