Advertisement
E-Paper

করোনার ধাক্কায় আমেরিকায় তেলের দামে ঐতিহাসিক পতন, পরে কিছুটা বৃদ্ধি দামে

করোনার ধাক্কায় সোমবার ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় মাইনাস ২৮৮৬ টাকা)।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ১১:০২
সোমবার আমেরিকায় তেলের দামে ঐতিহাসিক পতন। —ফাইল ছবি

সোমবার আমেরিকায় তেলের দামে ঐতিহাসিক পতন। —ফাইল ছবি

এ যেন জলের দরে তেল বিক্রি! করোনার ফলে থমকে গিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির গতি। তার বিপুল প্রভাব পড়েছে বাজারে। সোমবার তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, ওই দিন আমেরিকায় অপরিশোধিত তেলের দাম কমতে কমতে শূন্যের নীচে অর্থাৎ মাইনাসে নেমে যায়। ওই দিন এক ব্যারেল (প্রায় ১৫৯ লিটার) অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় মাইনাস ২৮৮৬ টাকা। যদিও মঙ্গলবার সেই হতাশাজনক ছবিটা সামান্য হলেও কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। এ দিন অপরিশোধিত তেলের দাম মাইনাসের গণ্ডি ছাড়িয়ে উপরে ওঠে।

দুনিয়ার অর্থনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক তেল। অথচ তার দামই নেমে গিয়েছে শূন্যের নীচে! সোমবার এমনই অবাক করা ছবির সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। ওই দিন আমেরিকার তেলের দামের সূচক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ফিউচার্স বা ডব্লুটিআই ফিউচার্স মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলারে নেমে যায়।

এক মাস পর তেলের দাম কত হবে তা স্থির করে ডব্লিউটিআই ফিউচার্স। অর্থাৎ মে মাসে তেলের দাম কত হবে তা স্থির হবে এপ্রিলে। মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে এর মেয়াদ। যদিও ডব্লিউটিআই ফিউচার্সে জুন মাসে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ২০.৪৩ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৫৬৬ টাকা) ও জুলাই মাসে ২৬.১৮ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২০০৮ টাকা) ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৮ হাজার ছাড়াল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৭

অপরিশোধিত তেলের দামের এই বিপুল পতনের কারণ হিসাবে করোনাকেই দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, করোনা রুখতে অনেক দেশই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। তার ফলে তেলের চাহিদাও প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছে। বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ানও। দাম তলানিতে নেমে যাচ্ছে দেখে, ১০ শতাংশ তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)-এর সদস্য এবং মিত্র দেশগুলি। কিন্তু তাতেও পতন ঠেকানো যায়নি।

আরও পড়ুন: রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, মোদীকে চিঠি ক্ষুব্ধ মমতার

মার্কিন মুলুকে তেলের দামের এই ঐতিহাসিক পতনকে দেখে ভারতের পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ দেশের বাজারে এই পতনের তেমন একটা প্রভাব পড়বে না। তার কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ওঠানামা করলেও, তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দেশে খুচরো বিক্রির ক্ষেত্রে খুব কম সময়েই দাম কমানো হয়। এর আগে ২০১৫ সালে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম পৌঁছেছিল ২৮ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২১৪৮ টাকা)। কিন্তু তার প্রভাব বাজারে তেমন একটা পড়েনি।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

Coronavirus USA America Oil Price West Texas Intermediate Brent Crude Oil
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy