সদ্য চাকরি পেয়েছেন? জীবনে প্রথম আর্থিক স্বাধীনতা পেয়ে আপনি নিশ্চই বেজায় খুশি? ইচ্ছা মত এটা সেটা কিনে বেরাচ্ছেন, দু’হাত খুলে টাকা ওড়াচ্ছেন। একটু ভাবুন, সারা জীবন কিন্তু এই ভাবেই কেটে যাবে না। দিন যত এগোবে, একে একে নতুন নতুন দায়িত্ব বর্তাবে কাঁধে। এর পর সংসারের দায়িত্ব, সন্তানের দায়িত্ব, তাদের পড়াশোনা একের পর এক নয়া দায়িত্ব আপনার সঙ্গি হবে। এখন থেকেই কিন্তু ভাবতে হবে আপনার অবসর পরবর্তী জীবনের কথাও।
তাই এখন থেকেই বিনিয়োগে মনযোগী হন।
প্রতিমাসে নিজের বেতনের ১০%, ১৫% বা ২০% বিনিয়োগ করতে পারেন। অনেকে সঞ্চয়েরও পরামর্শ দেন।
দেখে নিন সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের পার্থক্য কী কী। সেটা বুঝে সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে।
১) স্বল্প মেয়াদি লক্ষ্যের ক্ষেত্রে সঞ্চয় অবশ্যই ভাল। আপনি ব্যাঙ্কে আপনার টাকা (সেভিংস বা ফিক্সড ডিপোজিট) জমা রাখতেই পারেন। দীর্ঘ মেয়াদি লক্ষ্যের জন্য বিনিয়োগ সবসময় এগিয়ে থাকবে। ছেলে-মেয়ের শিক্ষা বা বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই বিনিয়োগ বেশি লাভজনক।
২) টাকা প্রাপ্তি- সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে টাকা পুনরুদ্ধার অনেক সহজ। বিনিয়োগের বিবিধ পন্থা রয়েছে, কিছুটা অনিশ্চিত হলেও পরিকল্পনা মাফিক বিনিয়োগে অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাবনা অনেক বেশি।
৩) ঝুঁকি- সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তুলনা মূলক অনেক কম। বিকল্প অনেক বেশি হলেও বিনিয়োগ তুলনামূলক অনেকটাই বেশি ঝুঁকির।
৪) অর্থপ্রাপ্তি- সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে আপনার সুদ হয়ত নিয়মিত, কিন্তু একে বারেই নির্দিষ্ট। মুদ্রাস্ফীতির হারের তুলনায় যা কিন্তু আসলে অনেকটাই কম। অন্যদিকে, ঠিক ঠাক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি, ঝুঁকি যত বেশী লাভের সম্ভাবনা ততটাই বেশি।