বাস্তবে বিটকয়েনের কোনও অস্তিত্ব না থাকলেও ভার্চুয়াল দুনিয়ায় তার উপস্থিতি এই মুহূর্তে যথেষ্ট চর্চিত বিষয়। বিটকয়েনের দামও বেড়ে চলেছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫ বছর আগে যদি আপনি ১ লক্ষ টাকার বিটকয়েন কিনতেন, তা হলে আজ আপনি প্রায় ৬ কোটি টাকার মালিক হতেন। এই মুহূর্তে যাঁদের হাতে বিটকয়েন আছে তাঁরা নাম লিখিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম ধনীদের তালিকায়। এখন প্রতিটি বিটকয়েনের দাম প্রায় ১৪-১৫ হাজার ডলার। আগামী দিনে হয়তো এর দাম বাড়তে পারে আরও। তাই সুযোগ বুঝে এখনই বিনিয়োগ করতে পারেন বিটকয়েনে। তবে এ দেশে বিটকয়েন কেনা-বেচা এখনও আইনত বৈধ নয়। ভারতের মতোই বিটকয়েন অবৈধ রাশিয়া, চিন, বাংলাদেশ, সুইডেন, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম-সহ আরও বেশকিছু দেশে। তাই বিনিয়োগের আগে জেনে নিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কয়েকটি সতর্কবার্তা।
বিটকয়েন বা এই ধরনের কোনও ভার্চুয়াল কারেন্সি বা ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) নির্দিষ্ট কোনও সংস্থাকে ছাড়পত্র দেয়নি। সুতরাং কোনও সংস্থা এই ধরনের ব্যবসা চালালে তার দায় কোনওভাবে সরকারের নয়।
বিটকয়েন কেনা-বেচার সময় যে কোনও সিস্টেম হ্যাকড হয়ে পারে। ম্যালওয়্যার অ্যাটাক হওয়ার ঘটনাও খুবই পরিচিত এ ক্ষেত্রে। ফলে আপনার যাবতীয় পাসওয়ার্ড, অ্যাকাউন্ট, ব্যাক্তিগত তথ্যও চুরি যেতে পারে।
এ দেশে যেহেতু বিটকয়েনের ব্যবসা আইনসিদ্ধ নয়, ফলে কোনও রকম আর্থিক তছরুপের ঘটনা ঘটলে আইনের সাহায্য পাওয়া যাবে না।
বিটকয়েনের দাম কখনও নির্দষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কাগজে কলমে এর কোনও প্রমাণও থাকে না। এটা পুরোটাই অনুমানের উপর নির্ভর করে। ফলে বিপুল লাভের যেমন সম্ভাবনা থাকে, তেমনই থেকে যায় ক্ষতির সম্ভাবনাও।
বিটকয়েনের এক্সচেঞ্জ প্লাটফর্ম এ দেশে আইনতসিদ্ধ নয়। ফলে এর পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও আইননুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায় কী না তা স্পষ্ট নয়।
অনেক সময়ই বিটকয়েন সমাজবিরোধী ও জঙ্গিমূলক কাজকর্মে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং ভার্চুয়াল কারেন্সিতে বিনিয়োগ করার ইচ্ছে থাকলে এই সমস্ত কিছু মাথায় রেখে তবেই মাঠে নামা উচিত।
আরবিআই অবশ্য সরকারি ভাবে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।