ভোটের মধ্যেই এ বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগল রাজ্যের চটকল মালিকদের সংগঠন। একই সঙ্গে এখনও পাটনীতি তৈরি করতে না-পারায় রাজ্যকেও দুষেছে তারা। মালিকদের অভিযোগ, নিজেদেরই তৈরি আইন ভেঙে চটের বস্তা কেনা কমিয়েছে কেন্দ্র। আর তার জেরেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাজ্যের সাতটি চটকল। কেন্দ্রীয় জুট কমিশনারের অবশ্য বক্তব্য, বস্তা কেনা কমেছে সামান্যই।
চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র অভিযোগ, পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও তার যথাযথ বিক্রির লক্ষ্যে ১৯৮৭-এ কেন্দ্র যে সংরক্ষণ আইন করে, দু’বছর ধরে তা নিজেরাই লঙ্ঘন করছে তারা। কমিয়েছে চটের বস্তা কেনা (চিনি ও খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৮০% ও ১০%)। ফলে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি ও হাওড়ায় ৭টি চটকল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আশঙ্কায় রয়েছেন ৪০ লক্ষ পাটচাষি ও ৫৬টি চটকলের প্রায় আড়াই লক্ষ কর্মী।
সংগঠনের দাবি, এ নিয়ে অন্তত রাজ্য যাতে পদক্ষেপ করে, সে জন্য শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা। অনুরোধ জানিয়েছেন, একে শিল্প ও বাণিজ্য দফতরে তালিকা-ভুক্ত শিল্পগুলির অন্তর্ভুক্ত করতে। আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের নিজস্ব পাটনীতি তৈরিরও। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।
এর জবাবে জুট কমিশনার সুব্রত গুপ্তের পাল্টা প্রশ্ন, “খাদ্যশস্যের উৎপাদন যদি চটের বস্তা তৈরির তুলনায় বেশি হয়, তা হলে সরকার কি সেই বাড়তি শস্য কিনবে না?” তাঁর দাবি, ২০১৩-’১৪-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ২৪ লক্ষ গাঁট বস্তা কেনা হয়েছে। যা আগের বছরের থেকে মাত্র ৯% কম। চাহিদা মাফিক চটের বস্তার জোগান না-পাওয়াতেই কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর ধারণা, চটকলগুলি খোলা বাজারে প্রচুর বস্তা বিক্রি করে। কিন্তু এখন কৃত্রিম তন্তুর কম দামি বস্তা বাজারে আসায় দামি চটের বস্তার বিক্রি পড়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই কেন্দ্রকে দুষছেন চটকল মালিকরা।
টাকা ফেরাতে বাধা বন্ধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, দাবি রোজভ্যালির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
যে সব লগ্নিকারী টাকা ফেরত চাইছেন, তাঁদের নিয়মিত তা ফেরানো হচ্ছে বলে দাবি করল রোজভ্যালি। একই সঙ্গে, বিতর্কিত ‘আশীর্বাদ’ প্রকল্পে টাকা তোলাও তারা অনেক আগে বন্ধ করে দিয়েছে বলে সংস্থাটির দাবি। শনিবার এক বিবৃতিতে রোজভ্যালির দাবি, সেবিকে তারা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে, টাকা ফেরত চাওয়া লগ্নিকারীদের তা ফেরানো হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের টাকা তোলা বন্ধ করে দিয়েছে ওড়িশার ‘ইকনমিক অফেন্স উইং’। জারি করা হয়েছে সম্পত্তি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞাও। এর ফলে লগ্নিকারীদের টাকা ফেরাতে সমস্যা হচ্ছে বলে রোজভ্যালির অভিযোগ। ২০১১-এ রোজভ্যালি গোষ্ঠীর সংস্থা রোজভ্যালি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন্সকে বাজার থেকে টাকা তুলতে নিষেধ করে সেবি। কিন্তু সংস্থার দাবি, ‘আশীর্বাদ’ প্রকল্পের আওতায় টাকা তোলা ২০১০ সাল থেকেই বন্ধ। উল্লেখ্য, নিয়ম ভেঙে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে রোজভ্যালির টাকা তোলার অভিযোগ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে শুক্রবার সেবিকে দু’মাস সময় দেয় স্যাট। তার পরই এ দিন এই বিবৃতি দিল সংস্থা।