বৈদ্যুতিন বর্জ্য হাব

ভোট মিটলেই প্রকল্প রূপায়ণে নামবে রাজ্য

বাস্তবায়িত হওয়ার পথে এগোচ্ছে রাজ্যের বৈদ্যুতিন বর্জ্য (ই-ওয়েস্ট) হাব প্রকল্প। সরকারি সূত্রে খবর, ওই প্রকল্পের জন্য হাতের কাছেই মজুত স্থানীয় লগ্নি ও বিদেশি প্রযুক্তি। ইতিমধ্যেই সেখানে লগ্নি প্রস্তাব দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ফার্মাসিউটিক্যালস গোষ্ঠী। তারা একটি ইউরোপীয় সংস্থার সঙ্গে জোটও বেঁধেছে। বিদেশি ওই সংস্থার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রাথমিক কথা সেরে ফেলেছে রাজ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, ভোট মিটলেই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্যের নথিভুক্ত উপদেষ্টা সংস্থাগুলির মধ্যে থেকে ট্রানজ্যাকশন অ্যাডভাইজর নিয়োগ করা হবে। প্রকল্পের বি

Advertisement

গার্গী গুহঠাকুরতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৪ ০৩:৩৭
Share:

বাস্তবায়িত হওয়ার পথে এগোচ্ছে রাজ্যের বৈদ্যুতিন বর্জ্য (ই-ওয়েস্ট) হাব প্রকল্প। সরকারি সূত্রে খবর, ওই প্রকল্পের জন্য হাতের কাছেই মজুত স্থানীয় লগ্নি ও বিদেশি প্রযুক্তি। ইতিমধ্যেই সেখানে লগ্নি প্রস্তাব দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ফার্মাসিউটিক্যালস গোষ্ঠী। তারা একটি ইউরোপীয় সংস্থার সঙ্গে জোটও বেঁধেছে। বিদেশি ওই সংস্থার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রাথমিক কথা সেরে ফেলেছে রাজ্য।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, ভোট মিটলেই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্যের নথিভুক্ত উপদেষ্টা সংস্থাগুলির মধ্যে থেকে ট্রানজ্যাকশন অ্যাডভাইজর নিয়োগ করা হবে। প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করবে তারাই। এ বিষয়ে কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা পেতে যা দ্রুত নতুন সরকারের কাছে জমা দিতে চায় রাজ্য।

সারা দেশেই বৈদ্যুতিন বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ছে লাফিয়ে। অ্যাসোচ্যামের সমীক্ষা অনুযায়ী, ফি বছর ভারতে সাড়ে ১২ লক্ষ টন বৈদ্যুতিন বর্জ্য জমা হয়। এই তালিকায় শীর্ষে মুম্বই (৯৬ হাজার টন)। তার পরে দিল্লি। কলকাতা সেই তুলনায় কম হলেও, বছরে ৩৫ হাজার টন এই বর্জ্য পাওয়া যায় এখানে।

Advertisement

অথচ পূর্বাঞ্চলে সংগঠিত বৈদ্যুতিন বর্জ্য প্রকল্প তেমন নেই। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের কর্তা স্বরূপ রায় জানান, ভারতে সাড়ে চার লক্ষ শিশু শ্রমিক এই বর্জ্য সংগ্রহের কাজে যুক্ত। কলকাতাতেও এই সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই এ ধরনের প্রকল্প হলে ব্যবসায়িক লাভ ছাড়াও বর্জ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিক হবে বলে তাঁর দাবি। সংশ্লিষ্ট মহলেরও মত, এ রকম প্রকল্পে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বর্জ্য সংগ্রহ হয়। পুনর্ব্যবহার-যোগ্য করা হয় তার একটা বড় অংশ। ফলে পরিবেশের পক্ষে তা অবশ্যই ভাল।

২০১২-তে রাজ্যে বৈদ্যুতিন বর্জ্য হাব তৈরির ভাবনা শুরু। পরিকল্পনা দানা বাঁধে ২০১৩-তে। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয় সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রকল্প গড়ার। সেই সূত্রে মাঠে নামে ওয়েবেল। আগ্রহী সংস্থাগুলির কাছে ইচ্ছাপত্র চায় তারা। তথ্যপ্রযুক্তি দফতর সূত্রে খবর, পাঁচটি সংস্থা ইচ্ছাপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে শ্রেয়ী ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স গোষ্ঠীর সংস্থা স্বচ্ছ এনভায়রনমেন্ট ছাড়া বাকিগুলি ভিন্ রাজ্যের।

কিন্তু জমির অভাবে প্রকল্পের গতি থমকে যায়। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বর্জ্য বেশি হওয়ায় শহর লাগোয়া জেলায় জমির খোঁজ শুরু হয়। চিঠি দেওয়া হয় উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা ও হাওড়া জেলাশাসকদের। কিন্তু তেমন সাড়া দেয়নি তিন জেলার প্রশাসনই।

বেসরকারি লগ্নির সঙ্গে রাজ্যের নজরে আছে কেন্দ্রের অনুদানও। নিয়ম অনুযায়ী, প্রকল্পের ২৫% আর্থিক দায় কেন্দ্রের। রাজ্যও একই পরিমাণ টাকা দেবে। বাকি ৫০% জোগাবে বেসরকারি সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement