National news

মরীচিকার পিছনে দৌড় করানোর মৌলবাদী কৌশল থেকে সাবধান

রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক একটি অমোঘ বিতর্ক এবং সঙ্ঘাতের একটি অমোঘ ক্ষেত্র— এমনটাই দেখানোর চেষ্টা হয়।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:৫৫
Share:

বাবরি মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত।

দৃশ্যপটে যা কিছু ভেসে ওঠে, তাই সত্য, এমন কিন্তু নয়। দর্শনেন্দ্রিয় অনেক সময় ভুল পথে চালিত করে, অনেক সময় পরিহাস করে। তাই যা কিছু দেখানোর চেষ্টা চলছে বা চেষ্টা চলে, সে সবেতেই বিশ্বাস রাখতে হবে এমনটা নয়। বাবরি কাণ্ডের ২৫ বছরে তো একেবারেই নয়।

Advertisement

রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক একটি অমোঘ বিতর্ক এবং সঙ্ঘাতের একটি অমোঘ ক্ষেত্র— এমনটাই দেখানোর চেষ্টা হয়। মন্দির-মসজিদের এই বিতর্ক এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়, এমনটাও বোঝানোর চেষ্টা হয়। সেই ফাঁদ থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। মরীচিকার পিছনে দৌড় করানোর যাবতীয় মৌলবাদী কৌশল ব্যর্থ করতে হবে।

অযোধ্যায় রাম মন্দির স্থাপন একটি অংশের মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উল্টো দিকে একটি অংশ বাবরি মসজিদের নামে সর্বক্ষণ নিবেদিত প্রাণ। এঁরাই সবচেয়ে বেশি মাতামাতি করেন অযোধ্যা বিতর্ক নিয়ে। এঁরাই গোটা দেশকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, অযোধ্যা বিতর্কের শিকড় সুদূর অতীতে এবং এই বিতর্ককে শান্তিপূর্ণ ভাবে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও পথ নেই। এই কট্টরবাদী শ্রেণি কিন্তু শুধু বিতর্ক জিইয়ে রেখেই সন্তুষ্ট। ‘সমস্যা’ সমাধানের চেষ্টা এই শ্রেণির কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ২৫ বছর ধরে এত হইচই সত্ত্বেও রাম মন্দির গড়া যায়নি অযোধ্যায়। এত হইচই সত্ত্বেও বাবরি মসজিদের পুনর্নির্মাণও সম্ভব হয়নি। প্রশ্নটা তোলা উচিত আজ সেখানেই। রাম মন্দির বা বাবরি মসজিদের নামে দেশের জনমতকে দ্বিখণ্ডিত করতে সর্বক্ষণ সচেষ্ট যাঁরা, তাঁরা কি আদৌ মন্দির নির্মাণ বা মসজিদ পুনর্গঠন চান? নাকি মন্দির-মসজিদের নামে মেরুকরণটাই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য? বাবরি কাণ্ডের পর ২৫ বছর কাটিয়ে এসে এই প্রশ্নের উপর জোর দেওয়া খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাবরি-রাম মন্দির বিতর্কের ইতিবৃত্ত জানতে চান? দেখুন টাইমলাইন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন