কাশীরাম দাসের জন্মভিটে। কাটোয়া। —নিজস্ব চিত্র।
‘সেই রূপে ভাষা-পথ খননি স্ববলে,/ ভারত-রসের স্রোত আনিয়াছ তুমি/ জুড়াতে গৌড়ের তৃষা সে বিমল জলে।/ নারিবে শোধিতে ধার কভু গৌড় ভূমি/ মহাভারতের কথা অমৃত, সমান।/ হে কাশি, কবীশদলে তুমি পুণ্যবান।।’ তাঁর ‘কাশীরাম দাস’ সনেটে পূর্বসূরী কাশীরাম দাসকে এ ভাবেই শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন মধুসূদন। শুধু মধুকবিই নন, রামায়ণ ও মহাভারতকে সংস্কৃত ভাষার গণ্ডি ছাড়িয়ে যে দু’জন কবি বাঙালির হৃদয়ের ধন করে তুলেছেন তাঁরা হলেন কাশীরাম দাস ও কৃত্তিবাস ওঝা। সমালোচকেরা বলেন, এই দু’জন প্রকৃত অর্থে অনুবাদক হলেও তাঁরা সংস্কৃতে গুরুগম্ভীর কাব্যজগতের চরিত্রদের বাঙালির আঙিনায় এনে দাঁড় করাতে পেরেছিলেন। তাই এই দু’জনের কাব্যকেই ‘অনুসৃজন’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েক জন সাহিত্য সমালোচক। রামায়ণ ও মহাভারতের মূল কাহিনির মধ্যে বহু সংযোজন, বিয়োজনের মাধ্যমে তাঁরা গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব কাব্যভুবন। কালের নিয়মে এই কাব্য বাঙালির জীবনভাষ্যে রূপান্তরিত হয়েছে।
ব্যাসদেব যে মহাভারত রচনা করেছিলেন তার সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চদশ থেকে ষষ্ঠ শতকের মধ্যে। তবে বাংলা ভাষায় মহাভারতের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ পেতে আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল ষোড়শ-সপ্তদশ শতক পর্যন্ত। কাশীরামের আগে কেউই মহাভারতের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেননি। যতদূর জানা যায়, তাঁর আগে মহাভারতের অনুবাদে হাত দিয়েছিলেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন হলেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর, রঘুনাথ, রামচন্দ্র খাঁ, দ্বিজ হরিদাস, ঘনশ্যাম দাস ও নিত্যানন্দ দাস। এঁদের কথা ও কাব্য সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রচার লাভ করেনি। তবে কাশীরাম দাসের নামে সম্পূর্ণ মহাভারত অনুবাদের কৃতিত্ব প্রচলিত হলেও সমালোচকদের একাংশের মতে কাশীরাম দাস পূর্ণাঙ্গ মহাভারত একা অনুবাদ করেননি। তাঁর মৃত্যুর পরে বাকি কাব্যের অনুবাদ অন্য কয়েক জন করেছেন এমন মতও প্রচলিত রয়েছে। তবে বাঙালি চিরকাল ধরে যুগ পরম্পরায় কাশীরাম দাসকেই মহাভারতের ‘রচয়িতা’ বলে জেনেছে। মহাভারতের এই অনুবাদকের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার সিঙ্গি গ্রামকে এই কবির জন্মস্থান হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষকদের একাংশ দাবি করেন, প্রাচীন ‘কাঁটুয়া’ বর্তমানের ‘কাটোয়া’। এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যই কাশীরাম দাসের মতো কবির জন্ম দিয়েছিল। সাহিত্য সমালোচকদের মতে, ৯৫০ থেকে ৯৬৫ বঙ্গাব্দের মধ্যে অর্থাৎ ১৫৪৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ কাশীরাম দাস এই সিঙ্গি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থে কাশীরাম দাসের যে আত্মপরিচয় উদ্ধার করেছেন তা এরকম, ‘‘ইন্দ্রাণী নামেতে দেশ পূর্বাপর স্থিতি।/ দ্বাদশ তীর্থেতে যথা বৈসে ভাগরথী।।/ কায়স্থ কুলেতে জন্ম বাস সিঙ্গি গ্রাম।/ প্রিয়ঙ্কর দাস পুত্র সুধাকর নাম।।/ ...’’ এই পরিচয় বিশ্লেষণ করে সমালোচকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন— কাশীরাম দাসের পিতার নাম কমলাকান্ত, পিতামহের নাম সুধাকর। তাঁর প্রপিতামহের নাম ছিল প্রিয়ঙ্কর দাস। কাশীরাম দাসেরা ছিলেন তিন ভাই— কাশীরাম, কৃষ্ণদাস এবং গদাধর দাস। এদের তিন ভাই কবিত্ব শক্তির অধিকারী ছিলেন। বড় ভাই কৃষ্ণদাস বৈষ্ণব সাধক হয়ে চলে যান। তাঁর নাম হয় ‘শ্রীকৃষ্ণকিঙ্কর’। কাশীরাম দাস তাঁর ‘ভারত পাঁচালী’ রচনাতে বিভিন্ন সূত্রে এই আত্মপরিচয় দিয়েছেন। কাশীরাম দাসের ভাই গদাধর জগন্নাথ মহিমা কীর্তন করে রচনা করেন ‘জগন্নাথমঙ্গল’। এই কাব্যটি ‘জগৎমঙ্গল’ নামেও পরিচিত। সমালোচকদের মতে, এটির রচনাকাল আনুমানিক ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দ। পূর্ব বর্ধমানের সিঙ্গি গ্রামে কাশীরাম দাসের জন্মস্থানটি আজও রয়েছে। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটির অবস্থা খুবই খারাপ। কাশীরাম দাসের জন্মভিটের দেওয়াল থেকে কিছুটা দূরে একটি কায়স্থ পরিবার বসবাস করে। তাঁরা জানান, এই জন্মভিটেতে তালা দেওয়া থাকলে ভিতরের খিড়কির দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। একটি ঘরের ভিতরে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল রয়েছে। সেই অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের ঘরের ভিতর দিয়ে কবির অনুবাদ-ভূমিকে দেখা যায়। কবির ভিটের ভাঙা দেওয়াল ও প্রবেশদ্বারের গায়ের কাজ দেখে অনুমান করা যায় কাশীরাম দাসের পরিবার শুধু আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল ছিলেন তা নয়, তাঁরা মেধাচর্চার দিক থেকেও ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছিলেন।
কাশীরাম দাসের জন্মভিটেটি অনেকটা জায়গা জুড়ে অবস্থিত। পিছনের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলে প্রাচীন বাড়ির গঠনশৈলী দেখে মুগ্ধ হতে হয়। ভিটের একটি অংশে বেদি তৈরি করা হয়েছে। পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাশীরাম দাসের একটি মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন থেকে যায়। কিসের উপর ভিত্তে করে তৈরি হবে মূর্তিটি? সেই
‘সেই রূপে ভাষা-পথ খননি স্ববলে,/ ভারত-রসের স্রোত আনিয়াছ তুমি/ জুড়াতে গৌড়ের তৃষা সে বিমল জলে।/ নারিবে শোধিতে ধার কভু গৌড় ভূমি/ মহাভারতের কথা অমৃত, সমান।/ হে কাশি, কবীশদলে তুমি পুণ্যবান।।’ তাঁর ‘কাশীরাম দাস’ সনেটে পূর্বসূরী কাশীরাম দাসকে এ ভাবেই শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন মধুসূদন। শুধু মধুকবিই নন, রামায়ণ ও মহাভারতকে সংস্কৃত ভাষার গণ্ডি ছাড়িয়ে যে দু’জন কবি বাঙালির হৃদয়ের ধন করে তুলেছেন তাঁরা হলেন কাশীরাম দাস ও কৃত্তিবাস ওঝা। সমালোচকেরা বলেন, এই দু’জন প্রকৃত অর্থে অনুবাদক হলেও তাঁরা সংস্কৃতে গুরুগম্ভীর কাব্যজগতের চরিত্রদের বাঙালির আঙিনায় এনে দাঁড় করাতে পেরেছিলেন। তাই এই দু’জনের কাব্যকেই ‘অনুসৃজন’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েক জন সাহিত্য সমালোচক। রামায়ণ ও মহাভারতের মূল কাহিনির মধ্যে বহু সংযোজন, বিয়োজনের মাধ্যমে তাঁরা গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব কাব্যভুবন। কালের নিয়মে এই কাব্য বাঙালির জীবনভাষ্যে রূপান্তরিত হয়েছে।
ব্যাসদেব যে মহাভারত রচনা করেছিলেন তার সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চদশ থেকে ষষ্ঠ শতকের মধ্যে। তবে বাংলা ভাষায় মহাভারতের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ পেতে আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল ষোড়শ-সপ্তদশ শতক পর্যন্ত। কাশীরামের আগে কেউই মহাভারতের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেননি। যতদূর জানা যায়, তাঁর আগে মহাভারতের অনুবাদে হাত দিয়েছিলেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন হলেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর, রঘুনাথ, রামচন্দ্র খাঁ, দ্বিজ হরিদাস, ঘনশ্যাম দাস ও নিত্যানন্দ দাস। এঁদের কথা ও কাব্য সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রচার লাভ করেনি। তবে কাশীরাম দাসের নামে সম্পূর্ণ মহাভারত অনুবাদের কৃতিত্ব প্রচলিত হলেও সমালোচকদের একাংশের মতে কাশীরাম দাস পূর্ণাঙ্গ মহাভারত একা অনুবাদ করেননি। তাঁর মৃত্যুর পরে বাকি কাব্যের অনুবাদ অন্য কয়েক জন করেছেন এমন মতও প্রচলিত রয়েছে। তবে বাঙালি চিরকাল ধরে যুগ পরম্পরায় কাশীরাম দাসকেই মহাভারতের ‘রচয়িতা’ বলে জেনেছে। মহাভারতের এই অনুবাদকের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার সিঙ্গি গ্রামকে এই কবির জন্মস্থান হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষকদের একাংশ দাবি করেন, প্রাচীন ‘কাঁটুয়া’ বর্তমানের ‘কাটোয়া’। এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যই কাশীরাম দাসের মতো কবির জন্ম দিয়েছিল। সাহিত্য সমালোচকদের মতে, ৯৫০ থেকে ৯৬৫ বঙ্গাব্দের মধ্যে অর্থাৎ ১৫৪৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ কাশীরাম দাস এই সিঙ্গি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থে কাশীরাম দাসের যে আত্মপরিচয় উদ্ধার করেছেন তা এরকম, ‘‘ইন্দ্রাণী নামেতে দেশ পূর্বাপর স্থিতি।/ দ্বাদশ তীর্থেতে যথা বৈসে ভাগরথী।।/ কায়স্থ কুলেতে জন্ম বাস সিঙ্গি গ্রাম।/ প্রিয়ঙ্কর দাস পুত্র সুধাকর নাম।।/ ...’’ এই পরিচয় বিশ্লেষণ করে সমালোচকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন— কাশীরাম দাসের পিতার নাম কমলাকান্ত, পিতামহের নাম সুধাকর। তাঁর প্রপিতামহের নাম ছিল প্রিয়ঙ্কর দাস। কাশীরাম দাসেরা ছিলেন তিন ভাই— কাশীরাম, কৃষ্ণদাস এবং গদাধর দাস। এদের তিন ভাই কবিত্ব শক্তির অধিকারী ছিলেন। বড় ভাই কৃষ্ণদাস বৈষ্ণব সাধক হয়ে চলে যান। তাঁর নাম হয় ‘শ্রীকৃষ্ণকিঙ্কর’। কাশীরাম দাস তাঁর ‘ভারত পাঁচালী’ রচনাতে বিভিন্ন সূত্রে এই আত্মপরিচয় দিয়েছেন। কাশীরাম দাসের ভাই গদাধর জগন্নাথ মহিমা কীর্তন করে রচনা করেন ‘জগন্নাথমঙ্গল’। এই কাব্যটি ‘জগৎমঙ্গল’ নামেও পরিচিত। সমালোচকদের মতে, এটির রচনাকাল আনুমানিক ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দ। পূর্ব বর্ধমানের সিঙ্গি গ্রামে কাশীরাম দাসের জন্মস্থানটি আজও রয়েছে। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটির অবস্থা খুবই খারাপ। কাশীরাম দাসের জন্মভিটের দেওয়াল থেকে কিছুটা দূরে একটি কায়স্থ পরিবার বসবাস করে। তাঁরা জানান, এই জন্মভিটেতে তালা দেওয়া থাকলে ভিতরের খিড়কির দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। একটি ঘরের ভিতরে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল রয়েছে। সেই অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের ঘরের ভিতর দিয়ে কবির অনুবাদ-ভূমিকে দেখা যায়। কবির ভিটের ভাঙা দেওয়াল ও প্রবেশদ্বারের গায়ের কাজ দেখে অনুমান করা যায় কাশীরাম দাসের পরিবার শুধু আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল ছিলেন তা নয়, তাঁরা মেধাচর্চার দিক থেকেও ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছিলেন।
কাশীরাম দাসের জন্মভিটেটি অনেকটা জায়গা জুড়ে অবস্থিত। পিছনের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলে প্রাচীন বাড়ির গঠনশৈলী দেখে মুগ্ধ হতে হয়। ভিটের একটি অংশে বেদি তৈরি করা হয়েছে। পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাশীরাম দাসের একটি মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন থেকে যায়। কিসের উপর ভিত্তে করে তৈরি হবে মূর্তিটি? সেই সময় কী কাশীরাম দাসের কোনও প্রতিকৃতি আঁকা হয়েছিল? তার উপর ভিত্তি করেই কি এই মূর্তি তৈরি হবে? এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তেমনি কাশীরাম দাসের নিজের হাতে লেখা মহাভারতের পুথিটিও আজ পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত থেকে গিয়েছে। এই ভিটেটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন এমনটাই দাবি করলেন পড়শি ও এলাকার সংস্কৃতিকর্মীদের একাংশ। এটি সংস্কার করা হলে এক দিকে যেমন মধ্যযুগের এই কবিকে শ্রদ্ধা জানানো হবে, অন্য দিকে তেমনই গবেষকদেরও কাজের সুবিধা হবে।
সময় কী কাশীরাম দাসের কোনও প্রতিকৃতি আঁকা হয়েছিল? তার উপর ভিত্তি করেই কি এই মূর্তি তৈরি হবে? এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তেমনি কাশীরাম দাসের নিজের হাতে লেখা মহাভারতের পুথিটিও আজ পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত থেকে গিয়েছে। এই ভিটেটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন এমনটাই দাবি করলেন পড়শি ও এলাকার সংস্কৃতিকর্মীদের একাংশ। এটি সংস্কার করা হলে এক দিকে যেমন মধ্যযুগের এই কবিকে শ্রদ্ধা জানানো হবে, অন্য দিকে তেমনই গবেষকদেরও কাজের সুবিধা হবে।
লেখক বর্ধমানের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মী