বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, ভেলোরে আটকে পড়া ব্যক্তিদের ঘরে ফেরার আকুতি

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ২০:৪০
Share:

আটকে পড়েছেন যারা ফিরতে চাইছেন তাঁরা। ফাইল চিত্র।

চিঠি ১। অনলাইন ও টিভির মাধ্যমে পড়াশোনা করা কি গ্রামীণ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সম্ভব?

Advertisement

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রও রাজ্য সরকার বিভিন্ন রকম জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেগুলি সাধুবাদের যোগ্য। আজ গর্ববোধ হচ্ছে যে আমি একজন ভারতবাসী ওপশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, এখন থেকে অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে পড়াশোনা করানো হবে। ৭ই এপ্রিল থেকে ক্লাসও শুরু হয়েছে। এটা খুবই ভালপদক্ষেপ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ ছাত্রছাত্রী, যাদের বাড়িতে দেখাবার কেউ নেই, বাবা-মা লেখাপড়া জানেন না, সেই সব ছাত্রছাত্রীদের বাড়ির অবস্থা সরকার একবারও ভেবে দেখেছে কি?

যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তার উপর লকডাউনের জেরেকাজকর্ম সব বন্ধ, তাঁদের বাড়িতে টেলিভিশন থাকলেওসেগুলো হয় খারাপ অথবা কেবল নেই।কেবল কানেকশন থাকলেও রিচার্জ করা নেই। আর অনলাইন? হয়তো বাড়িতে একটা ফোন আছে, সে দিয়ে তো আর অনলাইনে পড়াশোনা করা যাবে না। আমার মনে হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর এই বিষয়টি আরও সহানুভূতির সঙ্গে দেখা উচিত।

Advertisement

সুশান্ত কুমার ঘোষ

খঞ্জনপুর, বীরভূম

চিঠি ২। বাইরে আটকে পড়া মানুষদের ঘরে ফেরাতে লকডাউন শিথিল করা হোক

আমার মা, বাবা চিকিৎসা করানোর জন্য হায়দরাবাদ গিয়েছেন। ২৩ মার্চ ফেরার টিকিট ছিল। লকডাউনের জন্য তাঁরা আটকে পড়েছেন সেখানে। ওঁদের বয়স হয়েছে, কবে বাড়ি ফিরবেন সেই চিন্তা হচ্ছে সবসময়। কিছু দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করলে সবাই নিজের বাড়ি ফিরতে পারতেন। ওখানে খুব সমস্যায় আছেন ওঁরা।

কেয়া ঘোষ

ইমেল- keya.ghosh.laik@gmail.com

চিঠি ৩। একা আটকে হায়দরাবাদে, দয়া করে বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করুন

আমার পরিবার পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক গ্রামে থাকে। আমি হায়দরাবাদে কাজ করি। এখানে একা থাকি। আমি খুব উদ্বেগে রয়েছি। আমার বৃদ্ধ বাবা-মা উচ্চ রক্তচাপের রোগী। তাঁরাও আমার অবস্থা নিয়ে খুবই চিন্তিত। আমার বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার একটা ব্যবস্থা করুন। শুরু থেকে আমি লকডাউনের সমস্ত নিয়ম মেনে চলছি। ভবিষ্যতেও মেনে চলব। ১৪ এপ্রিলের পর দয়া করে আমার বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।

সুমনদীপ ঘোষ

ইমেল- sumandeep.ghosh@gmail.com

চিঠি ৪। চিকিৎসা করাতে এসে আটকে বেঙ্গালুরুতে, সাহায্য চাই

আমরা বেঙ্গালুরুতে এসেছিলাম চিকিৎসা করাতে। সঙ্গে বাচ্চা থাকায় খুব চিন্তায় রয়েছি। আমরা বাড়ি ফিরতে চাই। দয়া করে সাহায্য করুন।

পবিত্র মিত্র

ফোন নম্বর- 9679773756

চিঠি ৫। চিকিৎসা করাতে ভেলোরে আটকে বাংলাদেশিদের ফেরানোর ব্যবস্থা করুন

প্রতি বছর লক্ষাধিক বাংলাদেশি ভারতে যান উন্নত চিকিৎসার জন্য। আমার বাবা ও মা ২০১৭ তে ভেলোর গিয়েছিলেন। দেড় মাস থেকে সুস্থ হয়ে তাঁরা দেশে ফিরেছিলেন। এ বছর বাবা তাঁর বন্ধুর চিকিৎসার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ভেলোরে আছেন। চিকিৎসা যেদিন শেষ হয়, সে রাতেই মোদী সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় আমার বাবা, তাঁর বন্ধু, বন্ধুর স্ত্রী এবং ছেলে আটকে পড়েছেন। দু’মাস অন্য দেশে থাকা খাওয়া এবং চিকিৎসা করাতে অনেক খরচ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় তিন জন বয়স্ক মানুষ এভাবে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্য দেশে পড়ে আছেন। আমরাও তাঁদের ফেরার আশায়বসে আছি। সরকারের কাছে আবেদন তাঁদেরকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করুন।

নাহিদ বাদিয়ুজ্জামান

ইমেল- nahid.buzz@gmail.com

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন