সম্পাদক সমীপেষু: রথের চাকা ঘুরছে

আগে বাংলার মেয়েরা নিজেদের ব্রত অনুষ্ঠান তো নিজেরাই করতেন। পরে সবাইকে ব্রাহ্মণ পুরোহিতের কবলে আনার জন্য, সমস্ত লৌকিক ব্রতকে হিন্দুর বলে স্বীকার করে নেওয়া হল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০১
Share:

বাঁকুড়ার শালতোড়ার অব্রাহ্মণ নারীরা পুরোহিত হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন (‘ব্রাহ্মণ-গড় ভেঙে...’, ১৯-৩) পড়ে মনে হল, এটি লুপ্ত অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই। আগে বাংলার মেয়েরা নিজেদের ব্রত অনুষ্ঠান তো নিজেরাই করতেন। পরে সবাইকে ব্রাহ্মণ পুরোহিতের কবলে আনার জন্য, সমস্ত লৌকিক ব্রতকে হিন্দুর বলে স্বীকার করে নেওয়া হল। কিছু ব্রতকে একটু পালটে শাস্ত্রীয় বলে চালানো হল। কিছু ব্রতর নাম বদলাল, কয়েকটার নাম এক রেখে অনুষ্ঠান ও উৎপত্তির ইতিহাস বদলানো হল। যেমন শাস্ত্রীয় লক্ষ্মীপূজা পদ্ধতি প্রাচীন লৌকিক এক ব্রতের ব্রাহ্মণ্য সংস্করণ ছাড়া কিছুই নয়। ইতিহাসের রথের চাকা ঘুরছে। এই আন্দোলন বাঁকুড়া পেরিয়ে সমগ্র বাংলায়, সমগ্র ভারতে ছড়িয়ে পড়ুক।

Advertisement

উত্তম কুমার পতি

বাঁকুড়া

Advertisement

বদলি হচ্ছে না

নবনীতা খাঁ-র লেখা ‘শিক্ষিকাদের কষ্ট’ (২৮-৩) শীর্ষক চিঠি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ। বাড়ি থেকে স্কুল অনেক দূরে বলে বহু শিক্ষিকাই অশেষ কষ্টে আছেন, বদলিও পাচ্ছেন না। আমিও তঁাদের এক জন। আমার শ্বশুরের বয়স ৭০ বছর, তিনি কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত। শাশুড়ির বয়স ৬০, আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত। আমার ৩২ বছর বয়সি ননদ জন্ম থেকে ৯০ শতাংশ মানসিক প্রতিবন্ধী। আমি উত্তর ২৪ পরগনা থেকে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে একটি বিদ্যালয়ে (প্রায় ১১০ কিমি) সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে ২০১১ সালে যোগদান করি। দূরত্বের কারণে আমি আমার পরিবারের প্রতি কোনও দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে পারছি না।

সোনালী সিকদার (বল)

আগরপাড়া, উত্তর ২৪ পরগনা

একই হতাশা

এক আত্মীয়া বসিরহাট মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কলকাতার এক বিদ্যালয়ে রোজ কাজে যান। অমানুষিক কষ্ট করে ট্রেন, বাস, অটোতে যাতায়াত করতে হয়। উক্ত শিক্ষিকার এনওসি থাকা সত্ত্বেও এখনও আবেদনপত্রই জমা দিতে পারেননি। কোনও অজ্ঞাত কারণে এই সব আবেদনপত্র জমা নেওয়া স্থগিত আছে। চাকরি পাওয়ার পর পরই মা মারা যান, সম্প্রতি বাবাও মারা গেছেন। একমাত্র ছেলের পড়াশোনা ও অন্যান্য কর্তব্য পালন করতে গিয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।

সুখেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী

রুদ্রপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

ঝুঁকি হয়ে যাবে

‘বরং বেকারদের’ শীর্ষক চিঠিতে (৩১-৩) তুষার ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীকে ভোটের কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে, নিযুক্ত করা হলে নির্বাচনের কাজও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হবে, তাঁদেরও কিছু রোজগার হবে।’ শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের ভোটকর্মী হিসেবে নিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা ভোটকর্মীদের দায়বদ্ধতা বলে একটা জিনিস থাকে, যেহেতু তাঁরা সরকারি কর্মচারী। যে দায়বদ্ধতা বেকার যুবক-যুবতীদের থাকবে না, থাকার কথাও নয়। ধরা যাক তাঁদের ভোটের প্রশিক্ষণ দেওয়া হল, তার পর দেখা গেল তাঁরা ভোটের দিন অনুপস্থিত, তখন কী হবে? ভোট প্রক্রিয়াই তো বানচাল হয়ে যেতে পারে।

রতন চক্রবর্তী

উত্তর হাবড়া

নামটি অন্য

‘ইতিহাসের আকর’ (পুস্তক পরিচয়, রবিবাসরীয়, ২৪-৩) শীর্ষক নিবন্ধে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ/ মেদিনীপুর শাখা (৩ খণ্ড)’ বইটির আলোচনায় আলোচক লিখেছেন, ‘রংপুর জেলার কুণ্ডী-সদ্যপুষ্করিণী থেকে সুরেশচন্দ্র রায়চৌধুরী ১৩১২ বঙ্গাব্দে একটি প্রস্তাব পাঠান...’’ প্রস্তাবকের নামটি হবে সুরেন্দ্রচন্দ্র রায় চৌধুরী, যিনি সারা বাংলায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর প্রথম শাখা ‘রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।

সুমোহন রায় চৌধুরী

কলকাতা- ১৪১

হবু শিক্ষক

আমার ছেলে ২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (আপার প্রাইমারি) শিক্ষক নিয়োগপদে লিখিত পরীক্ষায় বসে। ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার ফল বের হয়। মার্কশিট-এ লেখা আছে ‘কোয়ালিফায়েড’। ৬৭.৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। ফল প্রকাশ হওয়ার পর প্রায় তিন বছর হতে চলল। কিন্তু ছেলেকে ইন্টারভিউ-এ ডাকল না। বাবা হিসেবে কর্তৃপক্ষের কাছে ইন্টারভিউয়ের দিন জানতে চেয়ে আরটিআই করেছিলাম। স্কুল সার্ভিস কমিশন কোনও উত্তর দেয়নি।

দীপক কুমার ঘোষ

শরৎনগর, দার্জিলিং

ডিজিটাল

পশ্চিমবঙ্গে ডিজিটাল রেশন কার্ড প্রচল করা হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেকেই এই কার্ড পাননি, কারও কারও আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে। পুরনো কার্ডে আর সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরা এখনও পাননি, তাঁরা কী ভাবে এই কার্ড পাবেন? খবরের কাগজে কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি। রেশন দোকানেও এ সম্পর্কে কিছু জানা যাচ্ছে না।

গুরুপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা-৫

নোটার কথা

নির্বাচন কমিশন ভোটযন্ত্রে ‘নোটা’ (কাউকে ভোট নয়) চালু করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, গণতন্ত্রে মানুষের ভোট দেওয়ার যেমন অধিকার আছে, আবার কোনও দল বা প্রার্থীকেই পছন্দ না হলে, ভোট না দেওয়ারও অধিকার আছে। গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল সমস্ত রাজনৈতিক দল ও ভোটপ্রার্থীরা এ ব্যাপারে একেবারে নিশ্চুপ। তাঁরা প্রচারে ভোটারদের বলছেন না, আপনাদের কেন্দ্রে প্রার্থীদের কাউকেই পছন্দ না হলে, ভোটযন্ত্রে ‘নোটা’ বোতাম টিপবেন।

গোপাল সাহাচৌধুরী

পানুহাট, কাটোয়া

এই পেনশন!

চটকলে চাকরি করতাম। দুর্ঘটনায় পা অকেজো হয়ে যায়, চাকরিতে ইস্তফা দিই। পেনশন পাই ১৫১৬ টাকা। এ টাকায় সংসার চলে! কোনও রাজনৈতিক দল কি আমাদের মতো মানুষের কথা চিন্তা করবেন না!

রবীন্দ্রনাথ পাল

তারকেশ্বর

‘স্পর্শকাতর’?

পশ্চিমবঙ্গে ‘স্পর্শকাতর’ বুথের সংখ্যা নিয়ে লড়ালড়ি চলছে। ইংরেজি ‘সেনসিটিভ’-এর বাংলা করা হয়েছে ‘স্পর্শকাতর’। আক্ষরিক অনুবাদ হয়তো ঠিক, কিন্তু আসল মানে কী বহন করে? স্পর্শকাতর মানে আমরা বুঝি খুবই নরম, যেমন লজ্জাবতী লতা। যে সমস্ত ‘স্পর্শকাতর’ পোলিং বুথে মারামারি, জাল ভোট, বুথ জ্যাম হয় বা উত্তেজনা থাকে, সেখানে নরমের বদলে গরমেরই প্রাধান্য বেশি। ফলে, ‘স্পর্শকাতর’-এর বদলে ‘বিস্ফোরক’ কথাটা আসল মানে প্রকাশ করবে। যে বুথ আগ্নেয়গিরির ওপরে বসে আছে, একটা দেশলাই কাঠি যেখানে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, সেটাকে ‘বিস্ফোরক’ বুথ বললে ঠিক হয়।

মিতালী মুখোপাধ্যায় (খাঁ)

মুড়াগাছা, নদিয়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

ভ্রম সংশোধন

‘এমন অঙ্ক আগে কষেনি রায়গঞ্জ’ প্রতিবেদনের সঙ্গে (পৃ ৬, ১৫-৪) গ্রাফিকে (কয়েকটি সংস্করণে) ২০১৪ সালের বিজয়ী হিসাবে সিপিএমের বদলে তৃণমূল লেখা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন