যাত্রীর বিড়ম্বনা
হাওড়া স্টেশনের পাশ থেকে শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার অফিসের পাশে অবস্থিত মিলেনিয়াম পার্কের ঘাট পর্যন্ত ভূতল পরিবহণ নিগমের যে লঞ্চ পরিষেবা আছে, তার সওয়ার হয়ে হাজার হাজার যাত্রী হুগলি নদী পারাপার করেন।
সংকীর্ণ প্রবেশ/বহির্গমন পথটির জন্য হাওড়ার দিকের যাত্রীরা প্রতিদিনই সকালের দিকে অসুবিধার সম্মুখীন হন। সেই সংকীর্ণ স্থানটিতেই আবার সংস্থাটির টিকিট ঘর। তাই সকালে অফিস সময়ে টিকিট কাটার লাইনের জন্য প্রায় প্রতিদিন ধাক্কাধাক্কি লেগেই থাকে। যদি টিকিট ঘরটি পার্শ্ববর্তী কোনও স্থানে প্রতিস্থাপিত করা হয় তবে লক্ষ লক্ষ লঞ্চযাত্রী প্রভূত উপকৃত হন।
এ বার আসি উল্টো দিকের অর্থাৎ গঙ্গার পুবপাড়ের অসুবিধার প্রসঙ্গে। লঞ্চ থেকে নেমে স্ট্র্যান্ড রোডে পৌঁছনোর পর যাত্রীরা যে যার গন্তব্যস্থলে রওনা হন। স্ট্র্যান্ড রোডে পড়ার হাত দশেক আগে চক্ররেলের যাতায়াত পথ দুদিক থেকে আগলে আড়াল করা লোহার আড়াআড়ি স্তম্ভ, যা হাজার হাজার পদযাত্রীর চলার পথে সর্বদা ফেলে রাখা থাকে। ফলে, ওই স্তম্ভ বহনকারী এবং অপ্রয়োজনীয় ভাবে মাথা তুলে থাকা যে থামগুলি দুপাশে আছে সেগুলির পাশ দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে ট্রাপিজের খেলা দেখাতে দেখাতে অথবা আড়াআড়ি ভাবে রেলপথটিকে আড়াল করে থাকা থামটির নীচ দিয়ে শরীর গলিয়ে স্থানটুকু অতিক্রম করতে হয়। বহু মানুষ প্রতিদিনই লোহার থামে ধাক্কা ও খোঁচা খেয়ে জমে থাকা নোংরা জলে জুতো-শাড়ি-প্যান্ট নোংরা করে বা ছিঁড়ে রেল লাইনের পাথরে পা মচকে বা কেটে ছড়ে আহত হয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
গৌতম মুখোপাধ্যায়। বিদ্যুৎ দফতর, নব মহাকরণ