WBSSC second phase jobs

এসএসসিতে দ্বিতীয় ধাপে পুরনো চাকরি ফিরে পেতে চলেছে ১৮২ জন

এ বার তাঁদের অন্য জেলায় যেতে হবে। কারও কারও তা বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে। যা অনেকটাই সমস্যার বলে জানাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৫৮
Share:

-প্রথম ধাপে নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশে ১৬৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বার দ্বিতীয় ধাপে আর‌ও ১৮২ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠাল‌ও পর্ষদ। এঁদের ইতিমধ্যেই পুরনো চাকরিতে ফেরার জন্য অনুমোদন দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এঁরা সকলেই ফিরবেন পুরনো স্কুলে যেখানে আগে

Advertisement

তাঁরা শিক্ষকতা করতেন অথবা সেই স্কুলের আশপাশের কোনও স্কুলে।

আর এখানেই প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থী থেকে শুরু করে সংগঠনগুলির। ‌ বর্তমানে অনেকেই নিজের জেলায় কাছের স্কুলে চাকরি করেন। ‌ এ বার তাঁদের অন্য জেলায় বাড়ি থেকে ( কারও কারও ক্ষেত্রে প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেশি দূরে) দূরের স্কুলে যেতে হবে। যা অনেকটাই সমস্যার বলে জানাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীরা।

Advertisement

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন,‘‘পূর্বের স্কুল না পাওয়া গেলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যতটা সম্ভব তাঁর নিজের কাছাকাছি এলাকার স্কুলে দেওয়া হোক। এ দাবি আমরা জানাচ্ছি।’’

১৮২ জন চাকরিপ্রার্থীকে তাঁদের ভেরিফিকেশনের জন্য আট রকম ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখতে বলেছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া অনুমোদন পত্র তার অরিজিনাল কপি। ১১ ও ১২ নভেম্বর মধ্যশিক্ষার অফিসে এই চাকরিপ্রার্থীদের ডাকা হয়েছে।

২০১৬ এসএসসি প্যানেলের বাতিলের পর চাকরি গিয়েছে ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর। এঁদের মধ্যে একমাত্র যাঁরা ২০১৬-র আগে সরকারি চাকরি করতেন, তাঁরা তাঁদের পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো পুরনো চাকরিতে ইতিমধ্যে প্রাথমিকের ১,৯৮৯ জন ফিরে গিয়েছেন। এ বার নবম দশম ও একাদশ-দ্বাদশে এসএসসিতে সুপারিশপত্র দেওয়া হবে ৫৪৮ জনকে।

শুধু শিক্ষা জগত নয়, বিদ্যুৎ , স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, রাষ্ট্রীয় সংস্থায় বিভিন্ন পদে ফিরে গিয়েছেন বেশ কিছু চাকরিহারা। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, গত মাসের ২৫শে অক্টোবর নথি যাচাই করা হয় ৫৪৬ জন চাকরিহারার। যাঁরা পুরনো চাকরিতে ফেরার জন্য আবেদন করেছিলেন।

চাকরিহারা শিক্ষকদের দাবি কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে তাঁদের নিজের জেলায় স্কুল মধ্যে সুযোগ করে দেওয়া হোক। কিন্তু তা মানা হয়নি বলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিযোগ। অসুস্থতার কারণে বহু শিক্ষক এখন এই দূরবর্তী জেলায় যাবেন কী করে তা নিয়ে চিন্তিত।

স্কুল শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, বর্তমানে যিনি যে স্কুলে কর্মরত সেই স্কুলে ওঁদের চাকরির কোন‌ও সম্ভাবনাই নেই। আবার তালিকায় নাম থাকা অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকার আগের স্কুলের বিষয়, লিঙ্গভিত্তিক শূন্যপদ, ক্যাটাগরি, মাধ্যম আর নেই। তা হলে সেখানে নিয়োগ হবে কী করে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement