— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পড়াশোনার জন্য বইয়ের মতোই জরুরি হয়ে উঠেছে কৃত্রিম মেধা। প্রযুক্তির হাতযশে বিশ্বের জ্ঞানভান্ডার এক ক্লিকে হাতের মুঠোয় চলে আসছে। ব্যবসায়িক বিশ্লেষণ অর্থাৎ বিজ়নেস অ্যানালিস্ট নিয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির সংযোজন শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সম্প্রতি ভারতের বিজ়নেস স্কুলগুলিতে ওই বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রোগ্রাম বা ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়েছে।
পাঠ্যবইয়ের থিয়োরির সঙ্গে প্রযুক্তির প্র্যাকটিক্যালের মিশেলে তৈরি ‘বিজ়নেস অ্যানালিটিক্স অ্যান্ড এআই’ বিষয়টি ব্যবসা, বাণিজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির ছবি স্পষ্ট করে তোলে পড়ুয়াদের কাছে। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অহমদাবাদের অধিকর্তা ও অধ্যাপক ভারত ভাস্কর জানিয়েছেন, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায়িক মডেল তৈরি, ডিজিটাল ট্রানজিশনকে সঠিক পথ দেখাতে এই বিষয়টি আগ্রহী পড়ুয়াদের বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। যাঁরা ম্যানেজার বা অন্ত্রেপ্রেনিয়রশিপের স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের ভাবনা এবং সৃজনশীলতাকে পথ দেখাতে পারে এই বিষয়টি।
ন্যাসকম এবং অন্য সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ২০২৫-এর শেষে ডেটা অ্যানালিস্ট ইন্ডাস্ট্রি থেকে দেশের আর্থিক লাভের পরিমাণ ১৬ হাজার কোটি পর্যন্ত হতে পারে। এ বার যাঁরা বিজ়নেস অ্যানালিস্ট অ্যান্ড এআই বা সমতুল বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তাঁদের জন্য কেরিয়ার গড়ার জন্য এই সময়টি আদর্শ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
দ্বাদশ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে পড়তে চাইছেন, তাঁদের স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শাখার অধীনে কৃত্রিম মেধা এবং ডেটা সায়েন্স, বিজ়নেস অ্যানালিটিক্স কিংবা সমতুল ডিগ্রি কোর্স করতে হবে। এরপর স্নাতকোত্তর স্তরে ডিগ্রি কোর্স, বা ডিপ্লোমা কোর্স করা দরকার।
পাশাপাশি, অনলাইনে সার্টিফিকেট কোর্স বা ব্লেন্ডেড মোড-এ (অনলাইন এবং অফলাইনে ক্লাস) ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। আইআইটি প্রতিষ্ঠান এবং বিজ়নেস ও ম্যানেজমেন্ট স্কুলগুলিতে উল্লিখিত কোর্সগুলিতে যোগদানের সুযোগ পাবেন। ওই প্রতিষ্ঠানগুলিতে কোর্সের সময়সীমা অনুযায়ী ১ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ফি হিসাবে ধার্য করা হয়ে থাকে।
চাকরির ক্ষেত্রে ডেটা অ্যানালিস্ট, বিজ়নেস অ্যানালিস্ট, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, এআই রিসার্চ সায়েন্টিস্ট, ডেটা ইঞ্জিনিয়ার, ক্লাউড অ্যানালিস্ট পদে কাজের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে নিজস্ব ব্যবসায়িক ফার্ম তৈরি করার সুযোগও রয়েছে। এর জন্য সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তাও মেলে।