ছবি: সংগৃহীত।
২০২৫ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) পরীক্ষায় আবেদন করার সময়সীমা শেষ হল ২১ জুলাই সোমবার বিকেল ৫টায়। এই সময়সীমার মধ্যে আবেদন করেছেন ৫ লক্ষ ৮০ হাজার পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকা আবেদন করেছেন বলে এসএসসি সূত্রের খবর।
‘যোগ্য’ শিক্ষক- শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা এবং বিরল রোগে আক্রান্ত বেশ কিছু পরীক্ষার্থী আবেদন করেননি। এ ছাড়াও ওবিসি জটিলতা এবং এনসিটিই পুরনো নিয়ম মেনে ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন আদালতের নির্দেশে। এই চাকরিতে অনিশ্চয়তা দেখে ‘যোগ্য’দের একটি অংশ যাঁরা উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন সেখানে যোগদানও করেছেন। তাই এই সংখ্যাটা কম দেখাচ্ছে।’’
১৬ জুন বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের আবেদনের প্রক্রিয়া। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের ঘন্টা পাঁচেক বাদে রাত সাড়ে ১০টার পর শুরু হয় এই প্রক্রিয়া। প্রথম দফার আবেদন শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৪ জুলাই। কমিশনের তরফ থেকে সেই আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২১ জুলাই করা হয়। আর সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০০০ মতো ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকা তাঁরা এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দিলেন না। এসএসসি তরফ থেকে ‘যোগ্য’দের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে ১৫,৪০৩ জনের নাম উল্লেখ ছিল। পরে আদালতে ‘অযোগ্য’দের নথি জমা দিয়েছিল ১,৮০১ জনের।
যদিও এসএসসি সূত্রের খবর, ৫ লক্ষ ৮০ হাজার মতো যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকই এখনও পরীক্ষার আবেদন মূল্য অনলাইনে জমা দেননি। জমা দেওয়ার সময়সীমা রয়েছে সোমবার রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত।
২০১৬ সালের পর ফের প্রায় ১০ বছরের মাথায় হতে চলেছে এসএসসি পরীক্ষা। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১৬ সালের তুলনায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আবেদনের সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ বেশি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ এসএলএসটি-তে নবম-দশম শ্রেণিতে আবেদন করেছেন সব থেকে বেশি। আবেদন করেছেন সাড়ে তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ এসএলএসটি পরীক্ষার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকার আবেদন করেছিল প্রায় ২ লক্ষ্য ৭৫ হাজার মতো । তার মধ্যে নবম-দশমে আবেদন করেছিল ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। আর একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতে আবেদন করেছিল ২ লক্ষ ৭৫ হাজার মতো