WB Centralized Admission 2025

স্নাতকে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই, কবে থেকে ক্লাস শুরু? জানালেন শিক্ষা মন্ত্রী

রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৬১টি সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে স্নাতক স্তরে ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯২১টি আসন রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ১৯:৩১
Share:

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছবি: সংগৃহীত।

স্নাতক স্তরে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন পোর্টালে ভর্তির প্রথম দফার মেধাতালিকা প্রকাশ করল রাজ্য শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি প্রথম দফার ক্লাস কবে থেকে শুরু হবে তা-ও বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

Advertisement

২২ অগস্ট বিকেল ৫ টা থেকে ২৫ অগস্ট পর্যন্ত কলেজে কলেজে শূন্য আসনে ভর্তি নেওয়া হবে পড়ুয়াদের। আগামী ২৩, ২৫ এবং ২৭ অগস্ট প্রতিষ্ঠানগুলিতে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে পড়ুয়াদের। নথি যাচাই করা হবে সেখানে। ২৯ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম পর্যায়ের ক্লাস। ‌

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট কোন‌ও রায় দেওয়ার পর হাই কোর্ট যে ফের তার বিপরীতে কোনও রায় দিতে পারে, সেটাই বিস্ময়কর। গোটা ভর্তি প্রক্রিয়া যাতে বানচাল করা যায়, সে জন্য অনেক মামলা মোকদ্দমা করা হল। কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও কলেজে ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারছি।"

Advertisement

কোনও প্রার্থী কলেজে ভর্তি হওয়ার পর তার পছন্দ পরিবর্তন করতে চাইলে সেই প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমে শুরু করা হবে ৩১ অগস্ট বিকেল ৫ টা থেকে।

প্রথম বার ভর্তি হওয়ার পর দেখা যায় বেশ কিছু আসন ফাঁকা রয়েছে, তা হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে (মপ আপ রাউন্ড) ভর্তি হবে। সে ক্ষেত্রে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে ৩১ অগস্ট থেকে, শেষ হবে ৩ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাঁরা ভর্তি হবেন, তাঁদের সশরীরে নথি যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে হবে ৪, ৬, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর।

প্রথম পর্যায়ে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তৃতীয় পর্যায় অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে। প্রথম পর্যায়ে যাঁরা আবেদন করেনি বা পছন্দের কলেজ বা আসন পাননি, তাঁরা ফের আবেদন করতে পারবেন। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে।

১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টের পর দ্বিতীয় পর্যায়ের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর শেষ পর্যায়ে যাঁরা আসন পাবেন তাঁদের কলেজে ভর্তি নেওয়া হবে। ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে আপগ্রেডেশন রাউন্ড। ২৩ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর সশরীরে নথি যাচাই করা হবে পড়ুয়াদের।

রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৬১টি সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে স্নাতক স্তরে ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯২১টি আসন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত আবেদন করেছেন ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৬৬৭ জন। অর্থাৎ ৭ লক্ষের বেশি আসন এমনই ফাঁকা পড়ে থাকবে। এর সঙ্গে বরাদ্দকৃত আসনেও যদি যথাযথ ভর্তি না হয়, তা হলে শূন্য আসনের সংখ্যা আরও বাড়বে।

শুধু তা-ই নয়। রাজ্য ও সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স-এর কাউন্সেলিংয়ের শেষে বিজ্ঞান শাখার বেশ কিছু পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যাবেন। তাই কলেজে কলেজে বিপুল আসন ফাঁকা থেকে যাবে বলে শিক্ষামহলের একাংশের ধারণা। অভিযোগ, ভর্তি প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে।

যদিও ব্রাত্য দাবি করেন, যে বিলম্বের প্রশ্ন উঠছে তা অযৌক্তিক। কারণ, আইসিটি-র গাইডলাইন অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া শেষের সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর। ব্রাত্য বলেন, "মেধাতালিকা প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে ঠিকই, তবে আমরা এআইসিটি-র সময়সীমার মধ্যেই রয়েছি। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যাবতীয় কাজ শেষ করে ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। গুজরাতে খোঁজ নিয়ে দেখুন সেখানে কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কিনা!"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement