Law College Controversy

কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের মদত দেওয়ার অভিযোগ। নাম প্রত্যাহার করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে পরিচালন সমিতির কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মনোনীত সদস্য ছিলেন অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বহিরাগতদের কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ তুললেন খোদ অধ্যক্ষ নিজে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ২৩:৫২
Share:

সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ধর্ষণের ঘটনায়, বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই বিতর্কের মধ্যেই উঠে এল দক্ষিণ কলকাতার আর‌ও একটি কলেজের নাম। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে পরিচালন সমিতির কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মনোনীত সদস্য ছিলেন অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বহিরাগতদের কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ তুললেন খোদ অধ্যক্ষই।

Advertisement

এই কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ, অরুণ বহিরাগতদের কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে উৎসাহ উৎসাহ দিতেন। এই মর্মে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেন তিনি। তারপর অরুণের নাম বাদ পড়ে, পরিচালন সমিতির তালিকা থেকে। আর এই নাম বাদ পড়া নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘পূর্বতন ছাত্র সংসদের (যা এখন অবৈধ) সদস্যদের তিনি উৎসাহ দিতেন। বহিরাগতেরা কেন ঢুকবে না তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন করতেন। এই কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত প্রতিনিধির নয়। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমার বক্তব্য তুলে ধরি। যা ব্যবস্থা নেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে। আমি ওঁকে মনোনীত করিনি বা করাইনি।’’

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়। তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেন। পাল্টা তিনি পঙ্কজ রায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন। অভিযুক্তের অভিযোগ, পঙ্কজ রায় অধ্যক্ষ পদে বসে যে সমস্ত কাজ করছেন তা অনৈতিক। অরুণ বলেন, ‘‘আমাকে পছন্দ নয় অধ্যক্ষের। তাই তিনি নিজের ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং আচার্যের কাছে গিয়ে আমাকে পরিচলন সমিতি থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমার অপরাধ, আমি স্পষ্টবাদী এবং ওঁর কার্যকলাপ নিয়ে সরব হয়েছি।’’

তিনি তার সাফাইতে আর‌ও জানান, আমি বহিরাগতদের সঙ্গে ওঠাবসা করি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং অধ্যক্ষ পদে বসে, ওনার কলেজের এক অধ্যাপিকার সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন তিনি। মহানন্দা কাঞ্জিলাল যিনি যোগেশ চন্দ্র কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। পরে তিনি দুর্গাপুর কলেজের প্রিন্সিপাল হয়ে সেখানে চলে যান। আর দীর্ঘদিন ধরে তার সার্ভিসবুক সংক্রান্ত কাজ আটকে রেখেছেন অনৈতিক ভাবে। আর তিনি আমার নামে অভিযোগ আনছেন। যা একপ্রকার হাস্যকর। উনি আমাকে বাদ দেওয়ার জন্য আচার্যর কাছেও গিয়েছিলেন। আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা না করে, সরাসরি বললে আমি নিজে থেকেই সরে যেতম।

তিনি তার সাফাইতে আর‌ও জানান, আমি বহিরাগতদের সঙ্গে ওঠাবসা করি একথা অসত্য। বরং অধ্যক্ষ পদে বসে, ওঁর কলেজের এক অধ্যাপিকার সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন তিনি। মহানন্দা কাঞ্জিলাল যিনি যোগেশচন্দ্র কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। পরে তিনি দুর্গাপুর কলেজের প্রিন্সিপাল হয়ে সেখানে চলে যান। আর দীর্ঘদিন ধরে তার সার্ভিসবুক সংক্রান্ত কাজ আটকে রেখেছেন অনৈতিক ভাবে। আর তিনি আমার নামে অভিযোগ আনছেন। যা একপ্রকার হাস্যকর। উনি আমাকে বাদ দেওয়ার জন্য আচার্যের কাছেও গিয়েছিলেন। আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা না করে, সরাসরি বললে আমি নিজে থেকেই সরে যেতাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement