CU Advisory on Summer Recess 2025

অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের আগেই গ্রীষ্মাবকাশ ঘোষণা! নতুন বিতর্কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

বিগত বছরগুলিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলির জন্য গ্রীষ্মকালীন অবকাশের ক্ষেত্রে বরাদ্দ সময় ছিল ১৫মে থেকে ৩০শে জুন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৫ ১৭:৫২
Share:

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত।

কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে এখনও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তার আগেই গ্রীষ্মকালীন অবকাশ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল বিশ্ববিদ্যালয়। তাতেই শুরু বিতর্ক।

Advertisement

চলতি বছরে এখনও প্রকাশিত হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার। বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলির শিক্ষকরা এখনও জানেন না, চলতি শিক্ষাবর্ষে কত দিন ক্লাসের জন্য বরাদ্দ বা কোন সময়ে কত দিন ছুটি। তার মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে নির্দেশিকা জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরে গ্রীষ্মাবকাশ থাকবে আগামী ২৯ মে থেকে শুরু করে ৩০ জুন পর্যন্ত।

বিগত বছরগুলিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির জন্য গ্রীষ্মকালীন অবকাশের সময় বরাদ্দ ছিল ১৫মে থেকে ৩০শে জুন। সেখানে এ বছর সেই সময়সীমা খানিক পরিবর্তন করা হল। একই সঙ্গে কলেজগুলিকে জানানো হয়েছে, এই মেয়াদকালেও সমস্ত কলেজের শিক্ষকরা যেন নিয়মিত পড়ুয়াদের ক্লাস করান।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ মানস কবি বলেছেন, “পূর্বের নিয়ম মেনেই ১৫ই মে থেকে কলেজগুলিতে গ্রীষ্মাবকাশ শুরু হয়ে গিয়েছে। শিক্ষক থেকে পড়ুয়া সকলেই এখন নিজের কাজে ব্যস্ত। হঠাৎ এই অ্যাডভাইজ়ারির ফলে সমস্যা তৈরি হবে কলেজগুলিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ছিল নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সঙ্গে কথা বলে অ্যাডভাইজ়ারি জারি করা।”

তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, এ বছর অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার ফলে সেমেস্টার সিস্টেমের পড়ুয়াদের ক্লাসের সময় অনেকটাই কমে যাচ্ছে। তাই তাঁদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বলেন, “সেমিস্টার সিস্টেমে বিরতি বলে কিছু নেই। এত দিন ধরে আমাদের স্ট্যাটিউটে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। তাই বিরতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে অ্যাডভাইজ়ারিতে। আমরা কলেজগুলির কাছ থেকেও এই বিষয়ে পড়ুয়াদের স্বার্থে সহযোগিতা আশা করছি।”

এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু কলেজের দাবি, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একসঙ্গে অভিন্ন স্ট্যাটিউট থাকা জরুরি। তা না হলে এই ধরনের সমস্যা বারবার হবে। নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দেব ষড়ঙ্গী বলেন “অভিন্ন স্ট্যাটিউট না থাকায় এই ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। অল বেঙ্গল প্রিন্সিপাল কাউন্সিলের তরফ থেকে আমরা অনলাইনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছি। যাতে এ বিষয়ে সকল অধ্যক্ষরা একত্রিত হয়ে পদক্ষেপ করেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement