লিভারপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত।
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য দরজা খুলে দিয়েছে ভারত। ২০২০-এর জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। সেই লক্ষ্যেই বিদেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এখানে। ২০২৩ সালে এ সংক্রান্ত খসড়াবিধিও প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ বার সেই মতো পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ বা আবেদন মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র।
কমিশনের মূল্যায়নের পর বিদেশের যে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় দেশে ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি পেয়েছে, সেগুলি হল— অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ডের লিভারপুর বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকার ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং ইতালির ইস্তিটিউটো ইউরোপিয়ো দি ডিজ়াইন।
সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বাইরে আরও ছ’টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। লক্ষ্য, আগামী শিক্ষাবর্ষের মধ্যে দেশে ১৫টি আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস গড়ে তোলা। যাতে দেশে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়ুয়াদের উন্নতমানের শিক্ষাদান করা যায়।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, বিদেশের আরও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। এর মধ্যে যেগুলি কিউএস র্যাঙ্কিং তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং ভাল তহবিল রয়েছে, সেই সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদনকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে শুধু এটুকুই নয়, এর বাইরেও বেশ কিছু মানদণ্ড স্থির করেছে কমিশন।
এর আগে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তালিকায় ছিল অস্ট্রেলিয়ার দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়, যার ক্যাম্পাস গুজরাতে হওয়ার কথা এবং ইংল্যান্ডের সাদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়, যার ক্যাম্পাস হবে গুরুগ্রামে।
কেন্দ্রের দাবি, প্রতি বছরই দেশ থেকে লক্ষাধিক পড়ুয়া বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দেন। দেশেই আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গড়ে উঠলে পড়ুয়ারা দেশে থেকেই তাঁদের স্বপ্নপূরণ করতে পারবেন, বিদেশে পড়তে যাওয়ার খরচ বাঁচানোও সম্ভব হবে। এমনকি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকেও পড়ুয়ারা এখানে এসে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।