প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। নানা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের নিরিখে ভারতের স্থান একেবারে শুরুর দিকে। তবে আক্রান্তদের সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক নন। ছোটরাও এই রোগের শিকার। তাই এ বার পড়ুয়াদের স্বার্থে বড় পদক্ষেপ করল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস সুপারিশ মেনেই পড়ুয়াদের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করেছে সিবিএসই। নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিটি স্কুলে ‘সুগার বোর্ড’ তৈরি করতে হবে। যেখানে অতিরিক্ত শর্করাজাতীয় খাবার কী ভাবে শরীরের ক্ষতি করে, সেই বিষয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করা হবে। পাশাপাশি, প্রতিদিন কত পরিমাণ শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত, ‘জাঙ্ক ফুড’/ কোল্ড ড্রিঙ্কের মতো অস্বাস্থ্যকর খাবারে কতটা চিনি থাকে, বেশি চিনি খেলে স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি হয় এবং তার বদলে কী কী স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যায়, তা-ও এই বোর্ডে উল্লেখ করা হবে। এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা পুষ্টিকর খাবার খেয়ে তাদের স্বাস্থ্যের যথাযথ খেয়াল রাখতে পারবে বলে আশাবাদী বোর্ড।
নির্দেশিকায় সুগার বোর্ড ছাড়াও স্কুলগুলিকে এই বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক সেমিনার এবং কর্মশালা আয়োজনের কথাও বলেছে সিবিএসই। পাশাপাশি, এই সেমিনার এবং কর্মশালা সংক্রান্ত রিপোর্ট এবং ছবিও বোর্ডের ওয়েবসাইটে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে আপলোড করতে হবে।
চিকিৎসকদের মতে, রক্তে অতিরিক্ত শর্করা বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্যও ক্ষতিকর। গত কয়েক বছরে পড়ুয়াদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবিটিস বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিএসই অধীনস্থ স্কুলগুলির অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বোর্ড জানিয়েছে, যে ভাবে ছোটদের মধ্যে চিনি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, তার মূল কারণ, স্কুল চত্বরে আজকাল অতিরিক্ত শর্করা মেশানো স্ন্যাকস, পানীয় এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে যে পড়ুয়াদের মধ্যে শুধু ডায়াবিটিসের মতো রোগ দেখা যাচ্ছে, তা নয়। পাশাপাশি, স্থূলতা, দাঁতের সমস্যা এবং অন্যান্য মেটাবলিক ডিসঅর্ডারও দেখা যাচ্ছে। যা আদতে পড়ুয়াদের সার্বিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। একই সঙ্গে তাদের পড়াশোনাতেও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।