কসবা আইন কলেজ। ছবি: সংগৃহীত।
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে পরিচালন সমিতির রদ বদলের পর শুক্রবার প্রথম বৈঠক হতে চলেছে। ঘটনার পর যে বৈঠক হয়েছিল, তার পরে কেটে গিয়েছে দেড় মাস। কেন এখনও কোনও পদক্ষেপ করেননি কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এই বৈঠকে। উঠে আসতে পারে কলেজ ক্যাম্পাসে গণধর্ষণের ঘটনার পর উপাচার্যের ভূমিকা এবং কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়গুলিও।
গত ২৪ শে জুলাই পরিচালন সমিতির শেষ বৈঠক হয়েছিল। কসবার আইন কলেজে এক ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনার পর পরিচালন সমিতির দুই মনোনীত সদস্য শিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এবং যশবন্তী শ্রীমানিকে সরিয়ে দেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই স্থানে দুই নতুন সদস্য হিসাবে মনোনীত হয়েছেন বাণিজ্য বিভাগের প্রধান তনুপা চক্রবর্তী এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক গুপ্ত।
শেষ বৈঠকে স্থির হয়েছিল, ১৫ অগস্ট এর মধ্যে ই-টেন্ডার ডেকে কলেজে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। এমনকি কলেজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এ বার প্রাক্তন সেনা কর্মীদের কলেজের নিরাপত্তা রক্ষিত দায়িত্বে রাখা হবে। আপাতত দু'জন নিরাপত্তারক্ষী রাখা হবে। কিন্তু দেড় মাস কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শুধু তাই নয়, বিশাখা গাইডলাইন মেনে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি) তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল এই বৈঠকে। স্থির হয়েছিল এই কমিটিতে ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের মধ্যে দু'জন মহিলা সদস্য থাকবেন। পরিচালন সমিতির তরফে এক জন থাকবেন। বাইরে থেকে একজন সমাজকর্মী থাকবেন। এ ক্ষেত্রে ঋতুশ্রী চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাবিত হয়েছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি শেষ পর্যন্ত। শুক্রবার দুপুর ১২ থেকে পরিচলন সমিতির বৈঠক হবে কলেজ ক্যাম্পাসে।