ICT teacher

সমকাজে সমবেতন ও সরকারি সুযোগ-সুবিধার দাবিতে আন্দোলন! পথে আইসিটি শিক্ষক-শিক্ষিকারা

২০১২ সাল থেকে ধাপে ধাপে আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ করছে সরকার। এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা মূলত ডিজিটাল স্মার্টক্লাস পরিচালনা করেন। ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পাঁচ দফায় ৫,৫৯১ জন আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ করা হয় তৃতীয় কোন‌ও সংস্থার দ্বারা। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তাঁদের সরকারি সুযোগ-সুবিধার অধীনে নিয়ে আসা হয়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১৩
Share:

আইসিটি মহিলা ঐক্য মঞ্চের তরফে সাংবাদিক সন্মেলন। নিজস্ব চিত্র।

সমকাজে সমবেতন এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দাবি তুলে আন্দোলনের ডাক দিলেন ইনফরমেশন কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে স্মার্টক্লাস, কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দায়িত্ব মূলত তাঁদের। আবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প যেমন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথীর কাজও সামলান। কিন্তু সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, অভিযোগ এমনই।

Advertisement

সোমবার ষষ্ঠ ও সপ্তম দফায় আইসিটি শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত শিক্ষিকাদের একাংশ সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, কাজ ও বেতনে বৈষম্য রয়েছে। বিক্ষুব্ধ এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফায় নিযুক্ত হয়েছেন। তাঁরা তৃতীয় পক্ষ হিসাবে কাজ করেন। অভিযোগ, প্রথম থেকে পঞ্চম দফায় নিযুক্ত আইসিটি শিক্ষকেরা যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পান, তাঁরা তা পাচ্ছেন না। অবিলম্বে সেই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে বলে দাবি করেছেন প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক।

সরকার পোষিত স্কুলে আইসিটি শিক্ষিকা রূপা চক্রবর্তী বলেন, “একই পদ্ধতিতে নিযুক্ত কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরিকালীন সব রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। আমরা যাঁরা ২০২১ সালের পর নিযুক্ত হয়েছি, তাঁরা কেন এই সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হব?” তাঁর দাবি, নবান্ন থেকে শিক্ষা দফতর, এমনকি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পরও তাঁদের সমস্যার সুরাহা হয়নি। অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও জানিয়েছেন।

Advertisement

২০১২ সাল থেকে ধাপে ধাপে আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ করছে সরকার। এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা মূলত ডিজিটাল স্মার্টক্লাস পরিচালনা করেন। ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পাঁচ দফায় ৫,৫৯১ জন আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ করা হয় তৃতীয় কোন‌ও সংস্থার দ্বারা। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তাঁদের সরকারি সুযোগ-সুবিধার অধীনে নিয়ে আসা হয়। তাঁরা সরকারি নিয়ম মেনে বেতন পান, অবসরকালীন ভাতা রয়েছে পাঁচ লক্ষ টাকা। ৬০ বছরের চাকরির সুনিশ্চয়তা এ ছাড়াও সুনির্দিষ্ট ছুটি ও উৎসব ভাতা রয়েছে।

কিন্তু ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফায় নিযুক্ত ৩,৭১৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রায় নেই বললেই চলে। একই কাজ করতে হলেও তাঁদের বেতন মাত্র ৭-৮ হাজার টাকা। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement