যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নাম না করে আচার্য তথা রাজ্যপাল কেই নিশানা করলেন তিনি। এ দিন এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বলেন, “কারও ব্যক্তিগত ইচ্ছার বলি হচ্ছে এই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলি।”
২০২২, ২০২৩ ও ২০২৫— একের পর এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যাদবপুরে। বার বার উঠেছে নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্ন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ স্থায়ী উপাচার্য ছিলেন সুরঞ্জন দাস। তারপর থেকে গত বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও স্থায়ী উপাচার্য পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যপাল মনোনীত অস্থায়ী উপাচার্য দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁকে নিজেই সরিয়ে দেন আচার্য।
এই মুহূর্তে উপাচার্যহীন যাদবপুর। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাসের ভিতরের একটি ঝিল থেকে উদ্ধার হয় ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর মৃতদেহ। এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, “যখন রাজ্য নিযুক্ত উপাচার্য ছিলেন এবং ভাল ভাবে কাজ করছিলেন, তখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ ভাবে মস্তকহীন করে দেওয়া হল। যিনি করলেন তিনি সুপ্রিম কোর্ট ও আইনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে এই কাজ করেছেন।” শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যাতে ক্যাম্পাসগুলিতে অরাজকতা তৈরি হয়। তিনি বলেন, “কারও ব্যক্তিগত ইচ্ছার বলি হচ্ছে এই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলি।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘স্পর্শকাতর বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসাবে দাবি করেন। পাশাপাশি বলেন, “এমন প্রতিষ্ঠানে উপাচার্য না থাকলে অস্থিরতা তৈরি হওয়ারই কথা। তা-ও আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানাব, কেন্দ্রীয় র্যাঙ্কিং-এ যাদবপুর তার সর্বোচ্চ জায়গা ধরে রেখেছে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য অর্থ দফতর বরাদ্দ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁরা দাবি, “নতুন উপাচার্য এলেই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা করব।”
র্যাঙ্কিং প্রসঙ্গে তিনি তুলে আনেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গও। সেখানেও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে উগরে দেন ক্ষোভ। ব্রাত্য বলেন, “উপাচার্যের রাজধর্ম পালন করতে গিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তলানিতে চলে গিয়েছে কেন্দ্রীয় র্যাঙ্কিং-এ।”