— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এমবিবিএস এবং ডেন্টাল সার্জারি-র স্নাতকের কোর্সের আসন বিন্যাসে রদবদল করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)। দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ মিলিয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য বর্তমানে ১,২৮,৮৭৫টি আসন বরাদ্দ করেছে কমিশন।
ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর সময় কমিশন প্রথমে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০০টি আসন বরাদ্দ করেছিল। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১,২৮,৯২৫ হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আসনসংখ্যা ছিল ১,১৭,৭৫০। এখনও পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট ১১,৩৫০টি আসন নতুন করে তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন-এর (নিট ইউজি) কাউন্সেলিং চলছে। কাউন্সেলিং-এ প্রার্থীরা নিজেদের পছন্দের মেডিক্যাল কলেজ বেছে নিয়ে এমবিবিএস কিংবা ডেন্টাল সার্জারি-র স্নাতকের কোর্স পড়ার সুযোগ পাবেন।
চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কোচবিহার গর্ভনমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট গর্ভনমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, জোকার এমপ্লয়িজ় স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন মেডিক্যাল কলেজ, পুরুলিয়া গর্ভনমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট গর্ভনমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে ৫০টি করে আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আসন বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যের দু’টি বেসরকারি হাসপাতালেও। জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল, কৃষ্ণনগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স-এ ৫০টি করে আসন বৃদ্ধি করেছে কমিশন।
রাজ্যের ৪০টি সরকারি, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পড়ানো হয়। এর মধ্যে নীলরতন সরকার, আইপিজিএমইআর কলকাতা, মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ২৫০টি করে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ২৫০টি আসন-এর বদলে ২৪৯টি আসন বরাদ্দ করেছে কমিশন।
এ ছাড়াও বর্ধমান, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি জেলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ১০০ থেকে ২০০টি করে আসন রয়েছে। দেশের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে মোট ৯৫টি কলেজ রয়েছে, যাতে আসন ১৪ হাজার ৮৭৫টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।