প্রতীকী চিত্র।
চলতি শিক্ষাবর্ষে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের এমবিবিএস প্রোগ্রামে ভর্তি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশিকা জারি করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)। মূলত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং কেন্দ্রের সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের নির্ধারিত মানদণ্ড মেনেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
এনএমসি-র প্রকাশিত নির্দেশিকায় এ বার বিশেষ ভাবে সক্ষমদের এমবিবিএস-এ ভর্তির ক্ষেত্রে তাঁরা কতটা প্রতিবন্ধকতাযুক্ত সে দিকে নজর না দিয়ে, তাঁরা ডাক্তারি পড়ার জন্য কতটা সক্ষম, সেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী, এ বার বিশেষ ভাবে সক্ষমদের স্বপ্রত্যয়িত হলফনামা জমা দিতে হবে। যেখানে কথোপকথন, চলাফেরা, লেখালিখি, মেডিক্যালের বিভিন্ন টার্মিনোলজি বোঝার ক্ষেত্রে তাঁরা কতটা স্বচ্ছন্দ এবং তাঁদের দৃষ্টিশক্তি কেমন, তা স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে। এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা এমবিবিএস পড়ার জন্য জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি ডাক্তারির ক্লিনিক্যাল কাজকর্ম কতটা ভালভাবে করতে পারবে, তা খতিয়ে দেখা হবে। আগে যেখানে তাঁরা কতটা প্রতিবন্ধকতাযুক্ত তার ভিত্তিতে কোর্সে ভর্তি নেওয়া হত, এখন সেই নিয়ম বদলেই এই বিশেষ শর্তাবলি তৈরি করেছে কমিশন।
এমবিবিএস-এ ভর্তির আবেদনের জন্য হলফনামা জমা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ইউনিক ডিসেবিলিটি আইডি (ইউডিআইডি) কার্ডও জমা দিতে হবে। এর পর নির্ধারিত ১৬টি মেডিক্যাল বোর্ড তাঁদের হলফনামা খতিয়ে দেখে তাঁদের যোগ্যতা যাচাই করবে। কোনও পড়ুয়া যদি কোনও একটি নির্দিষ্ট কাজ নির্দিষ্ট উপায়ে সম্পন্ন করতে অক্ষম হয়, তা হলে সে অন্য কোনও উপায়ে কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখবে এই মেডিক্যাল বোর্ডগুলি।
নথি যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হলে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় এবং তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া, বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করা এবং কোনও অভিযোগ জানানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের নির্দেশিকায়।
উল্লেখ্য, গত বছর ওম রাঠোর এবং ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস সংক্রান্ত মামলাকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় কমিশনকে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিবন্ধকতার বদলে সক্ষমতার দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি কমিশনকে এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা বদলের কথাও বলা হয়।