নিজস্ব চিত্র।
২০২৩ সালের টেটের ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। ওবিসি সংরক্ষণের কোন নিয়ম মেনে টেটের ফল প্রকাশ করা হবে, তা এ বার সরকারের কাছ থেকে জানতে চাইল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০২৩ এর ডিসেম্বরে প্রাথমিকের টেট নেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে প্রায় দু’বছর হতে চলল ওবিসি সংরক্ষণ জটিলতায় আটকে রয়েছে ফল প্রকাশ। টেটের ফল প্রকাশ করে দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেতে চায় পর্ষদ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানান, ‘‘দীর্ঘদিন হয়ে গেছে পরীক্ষা দিয়ে ফল প্রকাশের আশায় রয়েছেন প্রার্থীরা। বর্তমানে সংরক্ষণ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তাই আমরা রাজ্যের কাছ থেকে ফলাফল ঘোষণার আগে সংরক্ষণ সম্বন্ধে জানতে চেয়েছি। যাতে পরবর্তীকালে আইনি জটিলতা না তৈরি হয়।’’
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, সংরক্ষণের নিয়ম অনুযায়ী ওবিসি সম্প্রদায়ের মধ্যে যাঁরা পড়বেন তাঁদের ৮২ নম্বর পেলেই পাশ। ২০১৭ সালের নিয়মে ফলাফল ঘোষণা হলে কোনও অসুবিধা হবে না। যদি ২০১০-এর আইনকে মান্যতা দিতে হয় তা হলে বহু প্রার্থী সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
ফল প্রকাশের পাশাপাশি ২০২২ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য শূন্যপদ নিয়েও জানতে চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেটের ফল প্রকাশের পাশাপাশি দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে কয়েক হাজার শূন্যপদ রয়েছে।
২০২২ সালে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর টেট হয়। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সাত লক্ষের মতো। উত্তীর্ণ হন প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী। যদিও পরবর্তীকাল ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) নিয়ম অনুযায়ী যাঁদের ডিএলএড নেই তাঁরা যোগ্য হিসেবে ‘যোগ্য’ হননি। এর ফলে প্রায় ৯২ হাজার পরীক্ষার্থী এই তালিকা থেকে বাদ পড়েন।
ওই বছর পর্ষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর বছরে দু’বার টেট গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন সভাপতি। সেই মতো ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তিন লক্ষ ন’হাজার ৫৪ জন নাম নথিভুক্ত করালেও পরীক্ষায় বসেন দু’লক্ষ ৭২ হাজার জন। পরীক্ষার পর দু’বছর ঘুরতে চললেও এখনও ফলপ্রকাশ করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।