controversy over appointment in CU

বিনা পরিশ্রমিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত হলেন শান্তা দত্ত দে

২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর ডিপার্টমেন্ট অফ ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন তরফে শিক্ষকদের তরফ থেকে রেজিস্ট্রারের এর কাছে প্রস্তাব গিয়েছিল। সিন্ডিকেটের সেই প্রস্তাব পাশ করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:১১
Share:

নিজস্ব চিত্র।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর এ বার ‘অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর’ হিসেবে বিনা পারিশ্রমিকে অধ্যাপনার কাজ শুরু করলেন শান্তা দত্ত দে।

Advertisement

সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিপুর ক্যাম্পাস যা বিহারীলাল কলেজ ফর হোম অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স হিসাবে পরিচিত, সেখানে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেছেন শান্তা। তিনি বলেন,‘‘এটি একটি সান্মানিক পদ, বিষয়ের উপর যাঁদের দখল আছে এবং যাঁরা এই বিষয়কে একটি উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সেই সমস্ত অধ্যাপকদের নামে এই ধরনের প্রস্তাব আসে। বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী বিষয়টি সিন্ডিকেটে এসেছিল সেখানে অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। আমি এতদিন পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে ছিলাম বলে এটি গ্রহণ করিনি। এখন আমি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই বিভাগে সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাচ্চাদের পড়াতে পেরে খুশি।’’

২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর ডিপার্টমেন্ট অফ ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশনের তরফে শিক্ষকদের তরফ থেকে রেজিস্ট্রারের এর কাছে প্রস্তাব গিয়েছিল। সিন্ডিকেটে সেই প্রস্তাব পাশ হয়। রেজিস্ট্রার সেই নিয়োগপত্র সই করে তৈরি করে রেখেছিলেন। গত শুক্রবার দায়িত্বভার থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলে এই দায়িত্বভার নিয়েছেন বলে জানান শান্তা। ‌

Advertisement

তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তার বিরোধীপক্ষদের দাবি, কোন‌ও প্রকার বিভাগীয় বৈঠক ছাড়াই এই প্রস্তাব সরাসরি সিন্ডিকেট এ তোলা হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিভাগে আগে একটি বৈঠক হয়। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্য ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘‘এটি গত বছরের প্রস্তাব। এ বছরে সেই দায়িত্বভার গ্রহণ করার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। সিন্ডিকেটে বিষয়টি উঠলে আলোচনা করা হবে।’’

শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আশুতোষ ঘোষ। ওনাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি পুরনো বিষয়। এর সম্বন্ধে আমার জানা নেই। এই মুহূর্তে রেজিস্ট্রার অসুস্থ। তাঁর কাছ থেকে সমস্ত বিষয়টি জানার পরই মন্তব্য করতে পারব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement