SC reserved seats recruitment

শিক্ষাকর্মী নিয়োগে তফসিলি জাতির সংরক্ষিত আসনে শূন্যপদ বৃদ্ধির দাবি

পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালে গ্রুপ সিতে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ২৪০৮। সেখানে তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসন ছিল ১,২০০ মতো। কিন্তু ২০২৫ সালে সেই আসন সংখ্যা কমে হয়েছে ৬২০।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৫১
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে গ্রুপ সি গ্রুপ ডির শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন। সেখানে শিক্ষাকর্মী পদে তফসিলি জাতি সংরক্ষিত আসনে শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেন ‘যোগ্য’ শিক্ষাকর্মীরা।

Advertisement

সোমবার শিক্ষাকর্মীদের শূন্যপদে জাতি, লিঙ্গ ও মাধ্যমভিত্তিক শূন্যপদের তালিকা কত তা-ও প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানে দেখা যাচ্ছে গ্রুপ সি-তে শূন্য আসনের সংখ্যা ২৯৮৯ এবং গ্রুপ ডি-র শূন্যপদ ৫৪৮৮। আর এখানেই ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের দাবি, শিক্ষাকর্মী পদে তফসিলি জাতির শূন্যপদের সংখ্যা ২০১৬ সালের থেকে অনেক কম।

চাকরিহারা গ্রুপ সি শিক্ষাকর্মী অমিত ম‌ণ্ডল বলেন, ‘‘এসসি ক্যাটাগরিতে সকল ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা পরীক্ষায় বসবেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এখানে যে শূন্যপদের কথা বলা হয়েছে তা ২০১৬ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম । তাই আমরা শূন্যপদ বৃদ্ধির দাবি করছি সংরক্ষিত আসনে।’’

Advertisement

পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালে গ্রুপ সি-তে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ২৪০৮। সেখানে তফসিলি জাতি সংরক্ষিত আসন ছিল ১,২০০ মতো। কিন্তু ২০২৫ সালে সেই আসন সংখ্যা কমে হয়েছে ৬২০।

গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে আসন সংখ্যা ছিল ৩৮৮০। তফসিলি জাতি সংরক্ষিত আসন ছিল ১,৯৮১। ২০২৫ সালে সেই আসন সংখ্যা কমে হয়েছে ১,১৫০।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘শূন্যপদ কোথায় কী আছে তা ঠিক করে দফতর। আমরা তার উপর ভিত্তি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। তাই এই সংক্রান্ত অতিরিক্ত তথ্য আমাদের কাছে থাকে না।’’

শিক্ষাকর্মীদের আরও দাবি, আঞ্চলিক হিসাবেও শূন্যপদ অনেকটা কমেছে। তা অবিলম্বে বৃদ্ধি করতে হবে। যদিও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা এ নিয়ে কোন‌ও মুখ খুলতে চাননি।

এ ছাড়াও শিক্ষাকর্মীরা দাবি করছেন, শিক্ষকদের মতো শিক্ষাকর্মীদের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে তার দিন জানাতে হবে এসএসসিকে। এখন‌ও পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলেও কবে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে তার কোন‌ও দিন দেওয়া হয়নি। ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট রয়েছে তার আগে প্রক্রিয়া না শেষ করলে আরও সময় লেগে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement