—ফাইল চিত্র।
কবে হবে ২০২৫ এর দ্বিতীয় এসএমএসটির পরীক্ষা তা আগেই জানিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ বার পরীক্ষার সময়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল এসএসসি।
পরীক্ষা হবে ৭ ও ১৪ই সেপ্টেম্বর। প্রথম দিন হবে নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। আর দ্বিতীয় দিন হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছে রবিবার। পরীক্ষা হবে শুরু হবে দুপুর ১২ থেকে।
পরীক্ষার সময় ধার্য করা হয়েছে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট। অর্থাৎ দুপুর ১২ থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। শেষ হবে ১.৩০ মিনিটে। দৃষ্টিহীন শিক্ষক পদপ্রার্থীদের জন্য এসএসসি তরফ থেকে অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় ধার্য করা হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই স্কুল সার্ভিস কমিশন-এর তরফে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল সেপ্টেম্বরের এই দু’টি তারিখে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।
২০২৫ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) পরীক্ষায় আবেদন করার সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ২১ জুলাই বিকেল ৫টায়। এই সময়সীমার মধ্যে আবেদন করেছেন ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭০০ জন। যার মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকা আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে এসএসসি।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি।
এই আবেদনের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করেছেন ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৫০ জন। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য আবেদন করেছেন ২ লক্ষ ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী। ২০১৬ এসএসসি নিয়োগের পরীক্ষার নিরিখে এ বার প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার আবেদন বেশি জমা পড়েছে। লিখিত পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেমন হবে, তার পরিকল্পনা করতে শীঘ্রই উচ্চ পর্যায়ে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হবে।
গত ১৬ জুন বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের আবেদনের প্রক্রিয়া। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের ঘন্টা পাঁচেক বাদে রাত সাড়ে ১০টার পর শুরু হয় এই প্রক্রিয়া। প্রথম দফার আবেদন শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৪ জুলাই। কমিশনের তরফ থেকে সেই আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২১ জুলাই করা হয়। আর সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০০০ মতো ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকা তাঁরা এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেননি। এসএসসি তরফে ‘যোগ্য’দের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে ১৫,৪০৩ জনের নাম উল্লেখ ছিল। পরে আদালতে ‘অযোগ্য’দের নথি জমা দেওয়া হয়েছিল ১,৮০১ জনের।