প্রতীকী ছবি।
শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। জুন মাসে দু’টি পর্যায়ে তিন দিন করে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হল?
জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে বদলে যাওয়া পাঠ্যক্রম, নতুন করে চালু হওয়া সেমেস্টার পদ্ধতির সঙ্গে শিক্ষকদের সহজ পরিচয় গড়ে দিতেই বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক স্তরে মূলত সাতটি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। গত কয়েক বছরে এই বিষয়গুলির পাঠ্যক্রমেও বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। সমস্ত শিক্ষকের কাছে যেন এই পরিবর্তনের সম্যক ধারনা থাকে, সে জন্যই বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পঠনপাঠনকে সমকালীন ও সময়োপগী করা এবং পরীক্ষা ব্যবস্থার বিন্যাস, মূলত এই উদ্দেশ্যে শিক্ষকদের সক্রিয় করতে এই প্রশিক্ষণ।’’
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের সহযোগিতায় তাই পড়ুয়াদের স্বার্থে আবাসিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এই শিবিরে বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংযুক্ত শ্রেণিকক্ষের নিয়মিত মূল্যায়নের পদ্ধতি ও উপায়, প্রশ্ন তৈরি ও তার মূল্যায়ন-সহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে শিক্ষকদের। যাতে তাঁদের স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের পড়াতে কোনও সমস্যা না হয়।
সূত্রের খবর, জুন মাস জুড়ে এই প্রশিক্ষণ চলবে। আগামী ৬, ৭ ও ৮ জুন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আবার ১৪, ১৫ এবং ১৬ জুনও প্রশিক্ষণ দেবে পর্ষদ। বিধাননগরের নেতাজি সুভাষ প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে এই প্রশিক্ষণের। যোগ দেবেন পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন মহকুমা থেকে মনোনীত মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকরা।
সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলা পরিদর্শক (মাধ্যমিক শিক্ষা) দফতরের কাছ থেকে এই শিক্ষকদের তালিকা সংগ্রহ করেছে পর্ষদ। প্রতিটি বিষয়ে গড়ে ২৪ জন করে শিক্ষক যোগ দিচ্ছেন। মোট ১৬৮ জন শিক্ষককে এই প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেমেস্টার পদ্ধতিতে কী ভাবে পড়াতে হবে, তার জন্য শিক্ষকদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এক হাজার জন শিক্ষক একসঙ্গে অনলাইনে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে।