প্রতীকী ছবি।
বাংলার ঘরে ঘরে এখন জ্বর-সর্দি-কাশি। মৃদু হলেও প্রকোপ বাড়ছে করোনারও। এমতাবস্থায় শহরের বেশ কিছু স্কুল দিল সচেতনতার বার্তা। নারায়ণ দাস বাঙুর স্কুলে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ছাত্র ও শিক্ষকদের মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, ‘‘ভয় না পেয়ে আগাম সচেতন থাকাটা জরুরি। তাই আমি বিভিন্ন ক্লাসে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। কোনও পড়ুয়ার জ্বর, সর্দি-কাশি হলে তারা যেন স্কুলে না আসে, অন্যরা যেন মাস্ক পরে থাকে স্কুলে, তা জানানো হয়েছে।’’
প্রায় এক মাস গরমের ছুটির পর স্কুল খুলেছে। গরমের পাশপাশি হঠাৎ বৃষ্টি এবং আবহাওয়া পরিবর্তনে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি এবং জ্বর। করোনা ছাড়াও প্রকোপ বেড়েছে ‘ভাইরাল ফিভার’-এর। তাই স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে লিখিত কোনও নির্দেশ না থাকলেও স্কুলেই মৌখিক ভাবে সচেতনতার কথা বলা হয়েছে পার্ক ইনস্টিটিউশন এবং বেথুন কলেজিয়েট স্কুলেও। ক্লাসে ক্লাসে বলা হয়েছে, যাতে সচেতন ভাবে চলে স্কুলের পড়ুয়ারা।
নারায়ণ দাস বাঙুর স্কুলে জারি সতর্কতা। নিজস্ব চিত্র।
বেথুন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শর্বরী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা মেয়েদের মৌখিক ভাবে বলেছি, জনবহুল স্থানে মাস্ক ব্যবহার করবে। একে অন্যের বোতল থেকে জল খাবে না। টিফিন ভাগ করে খাওয়ারও প্রয়োজন নেই। ছাত্রীরা সচেতন থাকে, সে জন্যই এই প্রচার।’’ দ্য পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘আমরা বিশেষ করে পড়ুয়াদের একে অপরের টিফিন না খাওয়া, হাত স্যানিটাইজ করা, স্কুলে, বাসে বা ভিড় জায়গাতেও মাস্ক পরে থাকার কথা বার বার বলেছি।’’
রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতেও একই ছবি। কলকাতার জেলা প্রাথমিক বোর্ডের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে কোনও সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি লাগু না হলেও, আমরা স্কুলগুলিকে সচেতন থাকতে বলেছি। মৌখিক ভাবে স্কুলগুলি বাচ্চাদের বিভিন্ন ভাবে সচেতন থাকার বার্তা দিচ্ছেন।’’
যদিও যাদবপুর বিদ্যাপীঠের মত আলাদা। তাঁরা এখন পড়ুয়াদের পড়াশোনার উপরই বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ‘‘আমরা তিন মাস অন্য কোনও দিকে নজর দিতে চাই না। পড়ুয়াদের পড়াশোনার উপরই বিশেষ নজর দিচ্ছি এখন আমরা।’’
উল্লেখ্য, সারা দেশে এই আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছুঁই ছুঁই। রাজ্যের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে কেরালা। আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৩৫ সোমবার পর্যন্ত। দ্বিতীয় মহারাষ্ট্র, আক্রান্ত ৫০৬ জন। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৭। শহর ও শহরতলিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২২৬।