প্রতীকী চিত্র।
গত মাসের শেষের দিকেই রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা বা ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়াম (ডব্লিউবিজেইই)-র আয়োজন করা হয়। শুক্রবার, ফল ঘোষণার আগেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন বোর্ড (ডব্লিউবিজেইইবি)-এর তরফে প্রকাশ করা হল পরীক্ষার ‘মডেল আনসার কী’ বা উত্তর সূত্র।
বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ডব্লিউবিজেইই-র ইনফরমেশন বুলেটিনে আগেই উল্লেখ করা হয়েছিল, কবে ‘মডেল আনসার কী’ প্রকাশ করা হবে। পূর্ব ঘোষণা মতোই প্রকাশ করা হল ‘আনসার কী’। এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা এ বারের পরীক্ষার তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর কত হতে পারে, তার অনেকটা আঁচ পাবেন। কোন প্রশ্নে কত পেয়েছেন, তা-ও আন্দাজ করতে পারবেন। পরীক্ষায় ‘ক্যাটাগরি-১’-এ ছিল ১ নম্বর। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ক্যাটাগরিতে প্রশ্ন পিছু দু’নম্বর বরাদ্দ ছিল। ভুল উত্তরের ক্ষেত্রে প্রথম ক্যাটাগরিতে .২৫ নেগেটিভ মার্কিং এবং দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে .৫০ নেগেটিভ মার্কিং করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল বোর্ড। তবে তৃতীয় ক্যাটাগরির জন্য কোনও নেগেটিভ মার্কিং করা হয়নি।
কী ভাবে ‘মডেল আনসার কী’ দেখা যাবে?
১) প্রথমে বোর্ডের ওয়েবসাইট wbjeeb.nic.in -এ যেতে হবে।
২) ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীদের অ্যাপ্লিকেশন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করতে হবে। এর পর দেখা যাবে ‘আনসার কী’।
৩) ‘আনসার কী’ দেখার পর যদি চ্যালেঞ্জ জানাতে হয়, তা হলে ওয়েবসাইটের ‘চ্যালেঞ্জ আনসার কী’ বিভাগে যেতে হবে।
৪) সেখানে কোন কোন প্রশ্ন চ্যালেঞ্জ করতে চান পরীক্ষার্থীরা, তা তাঁদের বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি, চ্যালেঞ্জ করার কারণও ব্যাখ্যা করতে হবে।
৫) এর পর নির্ধারিত মূল্য জমা দিয়ে চ্যালেঞ্জ সাবমিট করতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রকাশিত ‘আনসার কী’ দেখে যদি পরীক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট না হন, একবারেই একাধিক প্রশ্নের ‘আনসার কী চ্যালেঞ্জ’ করতে পারেন। এর জন্য প্রশ্ন পিছু তাঁদের ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে। এর পর বোর্ডের তরফে তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব শেষে প্রকাশ করা হবে ‘ফাইনাল আনসার কী’। ‘ফাইনাল আনসার কী’-র মাধ্যমেই পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা এবং পরীক্ষার্থীদের র্যাঙ্ক জানানো হবে।
এ বছর ২৭ এপ্রিল রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরীক্ষা হয় অফলাইনে, ‘ওএমআর’ শিটে। প্রথম পত্রে ছিল অঙ্ক। পরীক্ষার সময় ছিল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এর পর দ্বিতীয় পত্রে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ সময় ছিল দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। প্রথমপত্রে মোট নম্বর ছিল ১০০। অন্য দিকে, দ্বিতীয়পত্রে দু’টি বিষয়ের প্রতিটিতে ৫০ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বর ছিল। কোনও প্রশ্নের ভুল উত্তরের জন্য পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং-ও করা হয়।