দুপুরে খাবার পরে শুয়েছিলেন বাড়ির দুই মহিলা। বিকেলের পর যখন ঘুম ভাঙল, দেখেন দু’জনের মোবাইল নেই। বাড়ির মূল গেটের দরজা খোলা থাকলেও, বাকি সব জিনিসও ঠিক-ঠাক রয়েছে। কিন্তু পরে আলমারি খুলে চক্ষু-চড়কগাছ! আলমারির ভিতরের লকারে রাখা গয়নার বাক্স আগের মতোই সাজানো রয়েছে কিন্তু ভিতরের গয়নাগুলি নেই। একবালপুর থানার হোসেন শাহ রোডের একটি বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন দুপুর পৌনে ৩ টে নাগাদ ৫৫/এইচ/৯-এর বাসিন্দা নাহিমা গজনাভি এবং তাঁর পুত্রবধূ ঘুমোচ্ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ বাড়ির ৭ বছরের মেয়ের ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙার পর লক্ষ্য করেন মাথা ঘুরছে, ভাল করে দাঁড়াতেও পারছেন না। শুধু তাই নয়। ঘরের ভিতের সুন্দর একটা গন্ধ। কোনও রকমে বিছানা ছেড়ে ওঠার পরই তাঁরা লক্ষ্য করেন, বাড়ির মূল গেট খোলা, তালাটাও নেই। বিছানায় রাখা মোবাইল খুঁজতে গিয়ে, সে দু’টিও পাননি। তখনই ওই দুই মহিলা বুঝতে পারেন চোর ঢুকেছিল।
ওই দুই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, পাশের ঘরে গিয়ে দু’জনে দেখেন তাঁদের দু’টি মোবাইল ছাড়া আর সবই ঠিক রয়েছে। আলমারিও তালা বন্ধ। তাই দু’টি মোবাইল চুরির ঘটনা থানায় জানাতে যান তাঁরা। কিন্তু থানা থেকে ফিরে আলমারি খোলার পরই তাঁদের চোখ কপালে ওঠে। আলমারির লকারের ভিতরে রাখা গয়নার বাক্সগুলি আগের মতোই সাজানো। কিন্তু ভিতরে কোনও গয়না নেই। এর পর সব ক’টি বাক্সই ফাঁকা দেখে তাঁরা বুঝতে পারেন, ঘুম থেকে উঠে শরীর খারাপ লাগার পিছনে কোনও কারণ রয়েছে। বিছানায় বালিশের তলা থেকে চোর চাবি নিয়ে আলমারি খুলে গয়না নিয়েছে এবং পরে চাবি বালিশের তলায় রেখে এসেছে। নাহিমার দাবি, পুরো ঘটনাটি জানাতে ফের থানায় যান এবং নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।