কংগ্রেসের মালা খসল তৃণমূল ভবনে

পুরভোটের ঠিক আগে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেস নেত্রী মালা রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে আলোচনার জন্য শনিবার বিকেলে নবান্নে ডেকে পাঠান। কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মালা বিকেল ৩টে নাগাদ নবান্নে যান। প্রায় আধ ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৫ ১৬:৫৫
Share:

পুরভোটের ঠিক আগে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেস নেত্রী মালা রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে আলোচনার জন্য শনিবার বিকেলে নবান্নে ডেকে পাঠান। কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মালা বিকেল ৩টে নাগাদ নবান্নে যান। প্রায় আধ ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। পরে মালা বলেন, “আমি কংগ্রেস ছাড়ছি। তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি।” এর পরই তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে যান। সেখানে তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই দলে যোগ দেন। একান্তে মালা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন কংগ্রেস করার পরেও দলে তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। এর আগে অবশ্য মালা তৃণমূলের টিকিটেই পুরভোটে জয়লাভ করেন। তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডে তিনি মেয়র পারিষদ ছিলেন। পরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তৃণমূল ছেড়ে মালা কংগ্রেসে যোগ দেন। গত লোকসভা ভোটেও কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে মালা কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে মমতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।

Advertisement

পুরভোটের প্রাক্কালে মালার মতো হেভিওয়েট নেত্রী দল ছাড়ায় কংগ্রেসের অন্দরে আলোড়ন উঠেছে। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া মন্তব্য করেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।” কারণ, মালার আগে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সুমন সিংহ দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বর্তমান কংগ্রেস কাউন্সিলর অরুণ দাসও দলীয় নেতৃত্বের উপরে ক্ষুব্ধ। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের ইঙ্গিত, যে কোনও দিন তিনিও দল ছাড়তে পারেন। অরুণবাবু দল ছাড়লে কংগ্রেসে পড়ে থাকবেন মাত্র দু’জন কাউন্সিলর। এক জন প্রকাশ উপাধ্যায়, অন্য জন সন্তোষ পাঠক। দলের এই পরিস্থিতি নিয়ে মানসবাবু এ দিন বলেন, “কেন দলের এত জন প্রবীণ নেতা ও জনপ্রতিনিধি কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন, এটা দলীয় নেতৃত্ব যদি এখনও চিন্তাভাবনা না করেন, তা হলে বাংলায় কংগ্রেসের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে।” তবে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দলত্যাগের এই ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর স্পষ্ট কথা: “যাঁরা দল ছাড়ছেন, তাঁরা ভয়ে ছাড়ছেন। কংগ্রেসের টিকিটে যদি জিততে না পারি, সেই অঙ্ক কষেই তাঁরা বেরোচ্ছেন। বেরনোর আগে সম্মানহানির অজুহাত দিচ্ছেন মাত্র।”

কংগ্রেস নেতা নির্বেদ রায় মালার স্বামী। তাঁর সঙ্গে নির্বেদবাবুও কি কংগ্রেস ছাড়ছেন? নবান্নে দাঁড়িয়ে মালা বলেন, “দু’টো মানুষের দু’টো আলাদা সত্ত্বা।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement